শ্রবণ ও তাঁর পরিবার
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুরকার শ্রবণ রাঠৌর। কোভিডে প্রাণ গেল সুরকার জুটি নদীম-শ্রবণের এক স্তম্ভের। শুক্রবার তাঁর বড় ছেলের মাধ্যমে জানা গেল সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে। যিনিও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পাশের শয্যায় তাঁর মা বিমলাদেবী।
হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন শ্রবণ এবং বিমলাদেবী। ফেরার পর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বলে জানান ছেলে সঞ্জীব রাঠৌর। করোনা পরীক্ষা করানোর পরে দম্পতির ফলাফল পজিটিভ আসে। শ্রবণ আরও অন্যান্য রোগে ভুগতেন বলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলেকেও অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাড়িতে নিভৃতবাসে ছিলেন ছোট ছেলে দর্শন। তিনিও করোনা আক্রান্ত। কিন্তু তিনি বাকিদের থেকে তুলনামূলক ভাবে সুস্থ বলে শ্রবণের সৎকার করার জন্য তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়।
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়ের ছবি কপালে ভাঁজ পড়েছিল চিকিৎসকদের। সেখানে হাজির হয়েছিলেন অগুন্তি মানুষ। কোভিড বিধি প্রায় শিকেয় উঠেছিল। সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক, কিছুই মেনে চলেননি কেউ।
ইতিমধ্যে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কুম্ভমেলার পর থেকে সে রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে হু হু করে। শ্রবণের মৃত্যুর এক দিন বাদে জানা গেল, তিনিও সেই মেলাতেই উপস্থিত ছিলেন।