নাদিম-শ্রবণ
প্রয়াত সুরকার শ্রবণ রাঠৌর। বলিউডের বিখ্যাত সুরেলা জুটি নাদিম-শ্রবণের একটি স্তম্ভ ভেঙে পড়ল। শ্রবণকে কেড়ে নিল কোভিড। ৬৬ বছর বয়সে তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে রেখে চলে গেলেন তিনি। ভেঙে পড়েছেন নাদিম আখতার সইফি।
কিছু দিন আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রবণ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছিলেন, শরীরে একাধিক রোগ থাকায় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শেষ কয়েক দিন আইসিইউতে স্থানান্তর করেও শেষ রক্ষা হল না। অন্য দিকে তাঁর পুত্র সুরকার স়ঞ্জীব রাঠৌর এবং স্ত্রী আরও একটি হাসপাতালে ভর্তি। করোনায় আক্রান্ত তাঁরাও। বাবাকে শেষ দেখার মতো ক্ষমতা নেই ছেলের।
শ্রবণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই নাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মুম্বইয়ের এক সংবাদসংস্থা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুরকার। মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে। বলেছেন, ‘‘এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যে তাঁর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছি না। আমার ভাইকে শেষ বারের মতো দেখতে পারলাম না। একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা। কোনও দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হইনি। সে আর নেই।’’
নব্বইয়ের দশকে নাদিম আখতার সইফির সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতেন শ্রবণ। বলিউডে নাদিম-শ্রবণ নামেই পরিচিত ছিলেন তাঁরা। ‘সজন’, ‘সড়ক’, ‘পরদেশ’, ‘আশিকি’-র মতো ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন দুই সঙ্গীত পরিচালক।
কিন্তু সুরকার জুটির যাত্রাপথ থমকে যায় গুলশন কুমারের মৃত্যুর পরে। ‘টি সিরিজ’-এর কর্ণধারের হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম ওঠে নাদিম সইফির। সে সময়ে গ্রেফতারের ভয়ে দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান তিনি। ৩ বছর আগের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন। বলেন, ‘‘কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগটি এনেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে সততার আশা রাখি এখনও। এ বারে আমাকে নির্দোষ ঘোষণা করা উচিত তাঁদের।’’ নাদিম জানান, অন্য কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক তাঁকে সাহায্য করেছিলেন বলেই ল়ন্ডনে বসে সেই মামলায় জিততে পেরেছেন তিনি।
তবে শ্রবণ চলে যাওয়ায় ‘আশিকি’-র জমানায় ইতি পড়ল চিরকালের মতো।