বলিউডে যে কয়েক জন তারকা পরিচালক ও প্রযোজকদের বিপদে সব সময় পাশে থেকেছেন, মিঠুন চক্রবর্তী তাঁদের মধ্যে অন্যতম। কেরিয়ারে বহু বার তিনি পরিচালক প্রযোজকদের ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছেন।
১৯৮৯ সালে শুটিং হচ্ছিল ‘মেরি জওয়ান’ ছবির। প্রথমে ছবির নাম ছিল ‘জওয়ান’। পরিচালক ছিলেন শিবু মিত্র। ছবিতে মিঠুন ছাড়াও ছিলেন শশী কপূর, বিনোদ মেহরা, রঞ্জিত, ফারহা, কিমি কাটকর ও তনুজার মতো তারকারা।
কিন্তু শুটিং কিছু দূর গড়াতেই সমস্যা দেখা দেয় অভিনেতাদের ডেট নিয়ে। কারণ তখন এই তারকাদের মধ্যে প্রায় সবাই পরিচালনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শশী কপূর পরিচালনা করছিলেন ‘আজুবা’ ছবি।
বিনোদ মেহরা পরিচালনা করছিলেন ‘গুরুদেব’ এবং রঞ্জিত সে সময় ‘কারনামা’ ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
অপেশাদারের মতো সবাই নিজেদের ছবি তৈরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে বিপাকে ফেলেন শিবু মিত্রকে। একেক জন তারকা একেক রকম ডেট দিতে থাকেন।
ফলে তাঁদের সবাইকে নিয়ে পরিচালক পড়লেন মহা সমস্যায়। একসঙ্গে কিছুতেই পাচ্ছিলেন না তাঁদের। ফলে ক্রমশ পিছোতে থাকে ছবির কাজ। এই সময় এক দিন তাঁর কাছে ছবির বিলম্বের কারণ জানতে চাইলেন মিঠুন।
সব শুনে ভরসা দিলেন তিনি। বললেন, বাকি তারকাদের সময়মতোই শুটিং শেডিউল ফেলতে। তিনি নিজে ঠিক ওই সময়ে হাজির হয়ে যাবেন। শুধু তাঁকে কিছু দিন আগে জানাতে হবে।
সেই ভাবেই শুটিং হল। শশী-বিনোদরা প্রথমে সময় দিলেন। তাঁদের সময়মতো নিজের শেডিউল তৈরি করলেন মিঠুন। যথা সময়ে মুক্তি পেল ছবি।
যদিও এই কাজটি সহজ ছিল না। কারণ মিঠুন সে সময়ে ছিলেন কেরিয়ারের মধ্যগগনে। তবুও তিনি পরিচালকের জন্য নিজের ব্যস্ততার সঙ্গে আপস করেছিলেন।
মিঠুনের এই সাহায্য মনে রেখেছিলেন পরিচালক শিবু মিত্র। তিনি ছবির নাম-ই পাল্টে দিলেন।
মিঠুন কথা দিয়েছিলেন। এবং তিনি নিজের কথা শেষ পর্যন্ত রেখেছিলেন। তাঁর জন্য পরিচালক ছবির নাম পাল্টে করে দেন ‘মেরি জুবান’, অর্থাৎ ‘আমার প্রতিজ্ঞা’।