বামাক্ষ্যাপা রূপে সব্যসাচী
আড়াই বছরের পরিশ্রম বৃথা গেল না। স্টার জলসা চ্যানেলের সমস্ত ধারাবাহিককে টপকে চ্যানেলের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করল ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’। রেটিং চার্ট অনুযায়ী ধারাবাহিকের প্রাপ্ত নম্বর ৭.৪। চ্যানেলের অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’ সেখানে পেয়েছে যথাক্রমে ৭.৩ এবং ৬.৪। শুধু তাই নয়, নম্বরের নিরিখে একই সঙ্গে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ চলতি সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
কী করে সম্ভব হল পুরোটা? ‘‘সবটাই তারা মায়ের আশীর্বাদে’’, আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেতার কথায়, শুরু থেকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল টিমকে। ‘‘এর আগে সাধকের চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিক হয়ে গিয়েছে। তাতে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। তাই সবার মনে ধারাবাহিকের স্থায়িত্ব এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে সামান্য দ্বিধা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, মাকে স্মরণ করে যে পরিশ্রম আমরা করছি সেটা বৃথা হতে পারে না। বৃহস্পতিবারের রেটিং চার্ট আমার কথাই সত্যি প্রমাণ করল’’, দাবি সব্যসাচীর।
ধারাবাহিকের পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী যদিও সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব দিচ্ছেন সব্যসাচীকেই। তাঁর কথায়, এই ধারাবাহিকের ইউএসপি ৩ জন। সব্যসাচী চৌধুরী, ‘তারা মা’ রূপী নবনীতা দাস এবং ‘অঘোরেশ্বর ঠাকুর’ গৌতম হালদার। পরিচালকের দাবি, বামাক্ষ্যাপা আর অঘোরেশ্বর যে দিন এক সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেন সে দিন ধারাবাহিকের টি.আর.পি সবচেয়ে বেশি থাকে। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, সব্যসাচী অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন ঈশ্বরকে। সেই বিশ্বাস থেকে অনেক বার শূন্য থেকে মাটিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। সাঁতার না জেনে গঙ্গার জোয়ারে নেমে অভিনয় করেছেন। একটা আঁচড় লাগেনি তাঁর গায়ে। সব্যসাচীর বিশ্বাস, ওঁর ওপর মায়ের আশীর্বাদ না থাকলে কোনওটাই সম্ভব হত না। গত বছরের লকডাউনে সাময়িক বন্ধ ছিল ধারাবাহিকের সম্প্রচারণ। সেটা না হলে এই ধারাবাহিক ৭০০ পর্ব ছুঁতো। তবে ৫৯৫ পর্বের পরেও একটি ধারাবাহিক রেটিং চার্টে প্রথম ৫-এর মধ্যে থাকা, চ্যানেল সেরা হওয়া--- এটা সত্যিই অলৌকিক ঘটনা।