Thank God

দেশের বাইরেও সমস্যা, অজয় দেবগনের ‘থ্যাঙ্ক গড’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কুয়েত সেন্সর বোর্ড

পৌরাণিক চরিত্র চিত্রগুপ্তকে নিয়ে ছবি বানিয়ে আইনি সমস্যায় পরিচালক ইন্দ্র কুমার। মুক্তির আগে বিতর্কের ঝড়। কুয়েতেও নিষিদ্ধ হল ‘থ্যাঙ্ক গড’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৩৩
Share:

অজয় দেবগন অভিনীত ছবি ‘থ্যাঙ্ক গড’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কুয়েত সেন্সর বোর্ড।

দেশের বাইরেও মুক্তি আটকে গেল ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর। অজয় দেবগন এবং সিদ্ধার্থ মলহোত্র অভিনীত ছবি ঘিরে বিতর্কের ঝড়।ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কুয়েত সেন্সর বোর্ড।

Advertisement

আগামী ২৪ অক্টোবর দেশ-বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর। তার আগেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ছবির ভবিষ্যৎ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে অভিনেতা অজয়, সিদ্ধার্থ এবং ছবির পরিচালক ইন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে ঘটনার পর পরই কুয়েতের দরজাও বন্ধ হয়ে গেল।

ছবিতে ভগবান চিত্রগুপ্তের উপাসনাকারী কায়স্থ সম্প্রদায়কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মণিকা মিশ্রের আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিভিল কোর্টে অভিযোগকারী হিমাংশু শ্রীবাস্তবের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর, ২০২২ তারিখ নির্ধারণ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট।

Advertisement

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর ঝলকে প্রভু চিত্রগুপ্তের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অজয়কে। তবে পরনে ব্লেজার, প্যান্ট এবং শার্ট।

ঝলক শুরু হয় সিদ্ধার্থর জীবনের এক দুর্ঘটনা দিয়ে। এর পরে তিনি প্রভু চিত্রগুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন। অজয় অভিনীত সেই পৌরাণিক চরিত্র সিদ্ধার্থের ইহজগতের পাপ-পুণ্যের হিসাব দিতে থাকে। যা করাই চিত্রগুপ্তের কাজ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী তিনিই কর্মফল গণনা করে পরলোকে মানুষের অবস্থান নির্ণয় করেন। ছবির তেমন কিছু দৃশ্যে প্রভুকে ছোট করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘আপত্তিকর শব্দ’-এর ব্যবহার হয়েছে, এমনও দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।

অভিযোগকারীর তালিকায় রয়েছেন আনন্দ শ্রীবাস্তব, ব্রিজেশ নিষাদ, মান সিংহ, বিনোদ শ্রীবাস্তব এবং রবি প্রকাশ পাল, যাঁরা গত ১০ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫টার সময় নেটমাধ্যমে ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর ঝলক দেখেন। এ নিয়ে পত্রপত্রিকাও পড়ে ফেলেন। তার পরই তাঁদের মনে হয়, এ ছবিতে ঘৃণা ও অপমানজনক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়ানোর চেষ্টা চলেছে। তাঁরা মনে করেন, মুনাফা অর্জন এবং টিআরপি বাড়ানোর জন্যই আপত্তিকর দৃশ্যগুলি চিত্রায়িত করা হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত করে। অভিযুক্তদের যথাযথ ধারায় তলব করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।

তাঁর মধ্যেই আরও এক দুঃসংবাদ। পশ্চিম এশিয়ার ইসলাম অধ্যুষিত দেশেও আটকে গেল পৌরাণিক হিন্দু ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement