‘থ্যাঙ্ক গড’-এর ঝলকে প্রভু চিত্রগুপ্তের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অজয়কে। ঝলক শুরু হয় সিদ্ধার্থর জীবনের এক দুর্ঘটনা দিয়ে।
আগামী ২৪ অক্টোবর মুক্তির আগে আইনি সমস্যায় ‘থ্যাঙ্ক গড’। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে অভিনেতা অজয় দেবগন, সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং ছবির পরিচালক ইন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ছবিতে ভগবান চিত্রগুপ্তের উপাসনাকারী কায়স্থ সম্প্রদায়কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মণিকা মিশ্রের আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিভিল কোর্টের অভিযোগকারী হিমাংশু শ্রীবাস্তবের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর, ২০২২ তারিখ নির্ধারণ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
সম্প্রতি প্রকাশিত ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর ঝলকে প্রভু চিত্রগুপ্তের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অজয়কে। তবে পরনে ব্লেজার, প্যান্ট এবং শার্ট।
ঝলক শুরু হয় সিদ্ধার্থর জীবনের এক দুর্ঘটনা দিয়ে। এর পরে তিনি প্রভু চিত্রগুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন। অজয় অভিনীত সেই পৌরাণিক চরিত্র সিদ্ধার্থের ইহজগতের পাপ-পুণ্যের হিসাব দিতে থাকে। যা করাই চিত্রগুপ্তের কাজ। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী তিনিই কর্মফল গণনা করে পরলোকে মানুষের অবস্থান নির্ণয় করেন। ছবির তেমন কিছু দৃশ্যে প্রভুকে ছোট করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘আপত্তিকর শব্দ’-এর ব্যবহার হয়েছে, এমনও দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা।
অভিযোগকারীর তালিকায় রয়েছেন আনন্দ শ্রীবাস্তব, ব্রিজেশ নিষাদ, মান সিংহ, বিনোদ শ্রীবাস্তব এবং রবি প্রকাশ পাল। যাঁরা গত ১০ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫টার সময় নেটমাধ্যমে ‘থ্যাঙ্ক গড’-এর ঝলক দেখেন। এ নিয়ে পত্রপত্রিকাও পড়ে ফেলেন। তার পরই তাঁদের মনে হয়েছে, এ ছবিতে ঘৃণা ও অপমানজনক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়ানোর চেষ্টা চলেছে। তাঁরা মনে করছেন, মুনাফা অর্জন এবং টিআরপি বাড়ানোর জন্যই আপত্তিকর দৃশ্যগুলি চিত্রায়িত করা হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নেতিবাচক দিকে প্রভাবিত করে। অভিযুক্তদের যথাযথ ধারায় তলব করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।