কোভিড বিধি মেনে ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
অতিমারিকে সঙ্গে নিয়ে, কোভিড বিধি মেনে ৭ জানুয়ারি থেকে সাত দিনের জন্য কলকাতা রকমারি ছবি দেখবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ওই দিন থেকেই শুরু হতে চলেছে ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। করোনা কারণে চলতি বছরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বদলে নবান্ন সভাঘর থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হবে উৎসবের। আনন্দবাজার অনলাইনকে এ কথা প্রথম জানিয়েছিলেন উৎসবের চেয়ার পার্সন রাজ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার শিশির মঞ্চে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশই বহাল থাকল। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে থাকতে পারেননি বিধায়ক-পরিচালক। উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, একই দফতরের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু বসু, প্রচার কমিটিরপক্ষ থেকে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, নন্দনের পক্ষ থেকে মিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরিচালন কমিটির নৈরাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, হরনাথ চক্রবর্তী। উৎসব চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে উদ্বোধন হবে উৎসবের। ওই দিন উপস্থিত থাকার কথা হাতেগোনা কিছু অতিথির। তবে তাঁদের নাম এখনও ঘোষিত হয়নি। এ বছর শতবর্ষে পা রেখেছেন তিন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত এবং মিকলোস জ্যাঁসো। তাঁরাই এ বারের উৎসবের প্রধান মুখ। এঁদের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে সম্মানিত হবেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, জিন পল বেলমন্ড, জিন ক্লড ক্যারিয়ার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, সুমিত্রা ভাবে। এ বছর উৎসবের দেশ ফিনল্যান্ড। দেখানো হবে সে দেশের ৬টি ছবি।
১৯৭০ সালে একটি তারকাখচিত ছবি পরিচালনা করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, সিমি গারেওয়াল, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, কাবেরী বসু, শমিত ভঞ্জ, রবি ঘোষ, পাহাড়ি সান্যাল প্রমুখ। সেই ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ই এ বছরের উৎসবের উদ্বোধনী ছবি। দেখানো হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়, রবীন্দ্র সদনে। এ ছাড়াও, ছায়াছবি প্রেমীদের জন্য থাকছে ১০৩টি বড় ছবি। ৭১টি দেশ থেকে বেছে নেওয়া ৫৮টি ছোট ছবি এবং তথ্য চিত্র। মোট ১৬১টি ছবির মধ্য বিদেশি ছবির সংখ্যা ৪৬টি। ৪১টি দেশ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাদের।
রাত দিন সাত দিন সিনে-ময় হয়ে থাকতে কোথায় কোথায় ঢুঁ মারবেন সিনেপ্রেমীরা? নবান্নের ঘোষণা, নন্দন, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন, নজরুল তীর্থ সহ শহরের মোট ১০টি প্রেক্ষাগৃহ সাত দিন ধরে প্রদর্শিত হবে নানা ধরনের ছবি। ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে মোট ২০০টি শো-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এই উৎসবে। আর থাকবে নানা ধরনের প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সিনে আড্ডা। ১১ জানুয়ারি বিকেল ৩টেয় সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেবেন বিশিষ্ট পরিচালক সুজিত সরকার। আর থাকবে বিভিন্ন সম্মাননা, পুরস্কার। সেরা ছোট-বড় দেশি-বিদেশি ছবি বেছে নেওয়া হবে প্রতিযোগিতা থেকে। সম্মানিত হবেন দেশ ও বিদেশের সেরা ছবির পরিচালক।