(বাঁ দিকে) মায়ের জুতো হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তৈমুর। গর্বিত মা করিনা কপূর খান। (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।
উঁচু জুতো পরে কী সুন্দর হাঁটেন নায়িকারা! মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিই কি খুব বেশি ক্ষণ লম্বা হিলের জুতো পরে থাকা যায়? না থাকাটা স্বাস্থ্যকর? আসলে নায়িকারাও তেমনটা মনে করেন না। প্রমাণ করে দিলেন স্বয়ং করিনা কপূর।
সাধারণত করিনা ইনস্টাগ্রামে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঝলক রেখে যান অনুরাগীদের জন্য। কখনও সেখানে দেখা যায় তাঁর সঙ্গে সইফ আলি খানের অবসর কাটানোর ছবি, কখনও দিদি করিশ্মা কপূর ও তাঁদের বন্ধুদের। আবার অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ্। বাদ পড়েন না সারা, ইব্রাহিম থেকে সোহা, ইনায়া, শর্মিলা ঠাকুর— কেউই।
শনিবার বিকেলে করিনা ভাগ করে নিয়েছেন তিনটি ছবি। সেখানে তৈমুরকেই দেখা যাচ্ছে, আলো-আঁধারিতে। পিছন থেকে তোলা ছবি। ঈষৎ মাথা নিচু করে নবাব-পুত্র হেঁটে চলেছেন হয়তো কোনও হোটেলের করিডোর ধরে। স্যুট-প্যান্টে ছোট্ট তৈমুরকে দেখে মনে হচ্ছে কোনও দায়িত্ববান পুরুষ। ডান হাতে ধরা একজোড়া জুতো।
করিনা লিখেছেন, “মায়ের সেবা। এ বছর এবং অনন্তকাল। শুভ নববর্ষ বন্ধুরা। আরও অনেক ছবি আসছে। সঙ্গে থাকুন।”
করিনার কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন সইফ-করিনা। বর্ষশেষের উদ্যাপন। সম্প্রতি সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে ফিরে বেশ কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন করিনা। কিন্তু সেটাই তো বড় কথা নয়, বড় কথা হল ছোট্ট তৈমুরের দায়িত্ববান হয়ে ওঠা। মায়ের জুতো হাতে করে নিয়ে চলেছে সে। বিত্তবান, প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হলেও করিনা ছেলেকে শেখাচ্ছেন নমনীয় থাকতে, মহিলাদের সম্মান করতে! মায়ের কষ্ট বুঝতে পারে তৈমুর।
অনুরাগীরা করিনার পোস্টের মন্তব্য বাক্স তৈমুরের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “তৈমুর পতৌদি আভিজাত্যে ভরপুর একজন সুভদ্র পুরুষ হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।” কেউ লিখেছেন, “কী সুপুরুষ ছোট্ট তৈমুর।” প্রশংসা এসেছে করিনার জন্যও। এক অনুরাগী লিখেছেন, “রাজা বড় হচ্ছে মহারানির তত্ত্বাবধানে।”
কপূর পরিবারের ছোট মেয়ে, নবাব বাড়ির বধূ করিনাকে বলিউড চেনে অহঙ্কারী, বদমেজাজি হিসাবে। কিন্তু নিজের জীবনে মাটিতে পা রেখে চলতেই ভালবাসেন করিনা। ৪৪ বছরের নায়িকা বয়স নিয়ে লুকোছাপায় বিশ্বাসী নন। বোটক্স করানোর প্রয়োজন বোধ করেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি নাকি তাঁর বয়স নিয়ে গর্বিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানানসই চরিত্রে অভিনয় করতে চান। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন।
করিনা প্রায়ই বিনা রূপটানে ছবি ভাগ করেন সমাজমাধ্যমে। এ বার ছেলের যে ছবি ভাগ করে নিলেন, তাতে ছেলের শিক্ষা যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনই করিনার সহজ জীবনের প্রকাশও ঘটেছে। এমনই মনে করছেন নেটাগরিকেরা। পায়ে ব্যথা হলে উঁচু জুতো খুলে ফেলতে দু’বার ভাবেন না নায়িকা। হয়তো ছেলের পিছন পিছন খালি পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন তিনি।