বুধবার সকালে হলুদ কুর্তা পরে ঝলমলে হয়ে রণবীর কপূর এবং আলিয়ার মেহেন্দি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক। চোখে ছিল কালো চশমা। সূত্রের কথায় জানা যায়, কর্ণ বহু বছর ধরেই ‘রণলিয়া’কে বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে চাইছিলেন। আলিয়া তাঁর নিজের মেয়ের মতো। তাঁর হাতে প্রথম মেহেন্দি পরাতে গিয়ে তাই নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি।
আলিয়া-কর্ণ
কর্ণ জোহরের ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এ হাতেখড়ি হয় আলিয়া ভট্টের। প্রথম বার ভট্ট পরিবারের ছোট কন্যার প্রতিভার ঝলক প্রকাশ পেয়েছিল। ১০ বছর পরে সেই ‘স্টুডেন্ট’-এর হাতে মেহেন্দি পরিয়ে দিলেন আলিয়ার প্রথম শিক্ষক। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন কর্ণ। আলিয়ার হাতে প্রথম মেহেন্দি তিনিই পরান। কনের হাতে মেহেন্দির প্রথম ছোঁয়া পড়তেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। দুঃখে নয়, আনন্দে। তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে সূত্র মারফত।
বুধবার সকালে হলুদ কুর্তা পরে ঝলমলে হয়ে রণবীর কপূর এবং আলিয়ার মেহেন্দি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পরিচালক। চোখে ছিল কালো চশমা। সূত্রের কথায় জানা যায়, কর্ণ বহু বছর ধরেই ‘রণলিয়া’কে বিয়ের পিঁড়িতে বসাতে চাইছিলেন। আলিয়া তাঁর নিজের মেয়ের মতো। তাঁর হাতে প্রথম মেহেন্দি পরাতে গিয়ে তাই নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি।
কর্ণ ছাড়াও অয়ন মুখোপাধ্যায়, করিনা কপূর, করিশ্মা কপূর, আদার জৈন, আরমান জৈন, পূজা ভট্ট-সহ বলিউডের তারকারা উপস্থিত হয়েছিলেন রণবীর-আলিয়ার শুভ দিনে। ভট্ট এবং কপূর পরিবারের যৌথ উদ্যোগে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল মেহেন্দি এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান।
আলিয়া মেহেন্দিতে নিজের হাতে স্বামীর নাম লেখেননি। মেহেন্দি শিল্পীকে কেবল ইংরেজিতে ‘৮’ সংখ্যাটি লিখতে বলেছেন তিনি। আড়াআড়ি ভাবে। ইংরেজি ‘৮’ সংখ্যাটিকে শুইয়ে দিলে তা হয়ে যায় অসীমতার প্রতীক। রণবীরের প্রিয় সংখ্যা, আট। এই একই সংখ্যাকে আড়াআড়ি ভাবে শুইয়ে দিলে তা অসীমতার কথা বলে। তাই রণবীর আটে বিশ্বাসী। তাঁর সৌভাগ্যের প্রতীক।