কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ছবি ‘তেজস’। গত কয়েক বছর ধরেই একের পর এক ছবি বানাচ্ছেন কঙ্গনা। তবে সাফল্যের মুখ দেখা হচ্ছে না তাঁর। সেই ২০২২ সালে ‘ধকড়’ সিনেমার মাধ্যমে শুরু হয় কঙ্গনার ফ্লপের ধারা। আশা ছিল, ‘তেজস’কে নিয়ে। কিন্তু শুক্র, শনি ও রবি— তিন দিনের যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে তার পরই ময়দানে নেমেছেন খোদ কঙ্গনা। দর্শকদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছেন তাঁর ছবি দেখতে যাওয়ার। তার কিছু প্রভাব পড়ল কি বক্স অফিসে?
এই উৎসবের মরসুমে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর নতুন ছবি ‘তেজস’। ছবি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বলিউডের ‘কুইন’ও। তবে প্রথম দিনে এই ছবি ঘরে তুলেছিল ১ কোটি ২৫ লক্ষ। শনিবারেও আয় ১.২৫ কোটি। আর দু’দিন মিলিয়ে ছবির আয় গিয়ে দাঁড়াল ২.৫০ কোটি, যা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। তবু হাল ছাড়তে নারাজ কঙ্গনা। কঙ্গনার দাবি, যাঁদের ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, ‘মেরি কম’-এর মতো ছবি ভাল লেগেছে, তাঁদের ‘তেজস’ ভাল লাগতে বাধ্য। পাশাপাশি, অভিনেত্রীর অভিযোগ, ৯৯ শতাংশ ছবিকে নাকি দর্শক সুযোগই দেন না। পাশপাশি যাঁরা তাঁর পর পর ব্যর্থতার জন্য ট্রোলড করেছেন। নেটাগরিকদের একটা বড় অংশের দাবি, ছবি ভাল হলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমান। নিজেদের সপক্ষে ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’-এর উদাহরণও দেন তাঁরা। নেটাগরিকদের একাংশের মতে, কঙ্গনা আগে নিজে ভাল ছবি বানান, তার পর অভিযোগের পাহাড় গড়বেন। এ বার কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, ‘‘আমাকে নিয়ে যাঁরা নিন্দে করছেন, তাঁদের জীবন খুবই হতাশাজনক। কারণ সারা জীবন ধরে তাঁদেরকে আমার সাফল্য দেখে যেতে হবে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে নিজের ভাগ্যের পিছনে ছুটে গিয়েছি। এবং ভারতের মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্য লড়ে যাচ্ছি। আমি সকলকে বলব আমার রাস্তায় হাঁটতে, যাতে এই ব্রহ্মাণ্ড আরও সুন্দর হয়।’’