দেব। নিজস্ব চিত্র।—
বুধবার রাত থেকে ছড়িয়েছে গুঞ্জন। দেব অধিকরী নাকি ‘বিদ্যাসাগর’ হচ্ছেন! প্রযোজক-অভিনেতা এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তাই বিনোদন নিয়ে এক্ষুণি তিনি মুখ খুলছেন না। তা বলে কি রটনা চাপা থাকে? যথারীতি খবর ছড়াতেই নড়ে বসেছে টলিউড। প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্য ভূমিকায় কি দেব অভিনয় করবেন? না কি তিনি শুধুই এই ছবির প্রযোজক? ছবিটি পরিচালনাই বা কে করবেন? খবর, সব ঠিক থাকলে ‘বাঘা যতীন’-এর পরিচালক অরুণ রায়ই নাকি হবেন এই ছবির পরিচালক।
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘খাদ্যনালিতে ক্যানসার ধরা পড়েছে। এখনও সম্পূ্র্ণ সুস্থ হইনি। তরল খাবার ছাড়া কিছুই খেতে পারছি না। ফলে, এক্ষুণি ছবি পরিচালনা নিয়ে কথা বলার অবস্থায় নেই।’’ পাশাপাশি, একেবারে অস্বীকারও করেননি। পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন দেবের নাম সবাই জড়াচ্ছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ, চরিত্রের সঙ্গে চেহারা না মিললে সেই চরিত্র দেব কখনও করেন না। এবং বিনোদন দুনিয়ার ক্ষতি হবে এমন কিছুও তিনি কোনও দিন করবেন না। পরিচালক একটি ছবি করেই তা বুঝে গিয়েছেন। তবে অরুণ মুখ না খুললেও ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, যা রটেছে তা ঘটতে চলেছে। এবং সে ক্ষেত্রে দেব কেবল প্রযোজকের ভূমিকা পালন করবেন।
পরিচালক অরুণ রায়। ছবি: সংগৃহীত।
‘চোলাই’-এর মতো রাজনীতিমনস্ক ছবি রয়েছে অরুণের ঝুলিতে। বাংলার রাজনীতি ছবির পরতে পরতে জড়িয়ে থাকায় ছবিটি বেশি দিন প্রেক্ষাগৃহে চলেনি। শোনা কথা, বেশ কিছু দিন নাকি পরিচালকও কাজ করতে পারেননি। তাঁকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সম্ভবত তার পর থেকেই তিনি ছবির ধারা বলেছেন। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অরুণের বক্তব্য, ‘‘বাংলা গড়তে অতীতে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁদের কথা সে ভাবে বলা হয় না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁদের আদর্শ, কাজ, ভাবনা তুলে ধরা দরকার। আমি সেই কাজটিই করছি। আমার স্বাদেশিকতা ভাল লাগে। তাই বাঘা যতীনকে নিয়েও ছবি করেছি। এ ভাবেই অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সামনে আনছি। ভয় পেয়ে বা অন্য কোনও কারণে নয়।’’ ‘বিদ্যাসাগর’ নিয়ে আরও খবর, অরুণ আপাতত টানা বিশ্রামে। চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শে রয়েছেন। প্রয়োজনের বাইরে বেরোচ্ছেন না। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে হয়তো ‘বিদ্যাসাগর’-এর শুট শুরু করতে পারেন তিনি।