রূপকথা চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজল। —ফাইল চিত্র।
বোলপুর থেকে মুম্বই। টানা ৪৭ দিন মুম্বই তারকাদের সঙ্গে অভিনয়। ওঠাবসা, খানাপিনা, পার্টিও! রূপকথা চক্রবর্তীও কি তারকা হয়ে গেলেন? কাজলের সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল। পরিচালক বিশাল পুরিয়ার খুব পছন্দ তাঁকে। আপাতত এক মাসের ছুটিতে ঘর ওয়াপসি অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘ঘরে বাইরে এখন’-এর ছোট বিমলার। অভিজ্ঞতা কেমন?
জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। কথায় কোনও জড়তা নেই রূপকথার। মুম্বইয়ের গল্প বলবেন? অনুরোধ জানাতেই হাসি দশম শ্রেণির ছাত্রীর। জানালেন, খুব ভাল। শুটের ফাঁকে মুম্বই দেখেছি। আমার প্রিয় শাহরুখ খান। যদি দেখতে পাই, এই আশায় মন্নতের সামনে থেকেও ঘুরে এসেছি। দারুণ শহর। আর কাজ? কোন ভূমিকায়, কী ভাবে দেখা যাবে তাঁকে?
বিশালের আগামী ছবি ‘মা’-তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে রূপকথাকে। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে নারাজ তিনি। এ টুকু বলেই উচ্ছাস তাঁর। তিনি কাজলকে বাংলা শেখাচ্ছেন! ছবিতে অনেক বাংলা সংলাপ। কাজল তাই বেশ আটকাচ্ছেন। আটকালেই নাকি ডাক পড়ছে রূপকথার। আরও আছে। তাঁর নাম কাজলের খুব পছন্দ। সুযোগ পেলেই নাকি আড্ডা দেন। আদর করেন। আবার ভুল করলে বকেন, শিখিয়েও দেন। ছবিতে রণিত রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তও আছেন। ওঁরা? রূপকথার দাবি, ওঁরাও খুব ভাল। শুট শেষ হলেই পার্টি হত।
খবর, ছবিতে ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। কাজলের গ্রামের বাড়ির দেখভাল করা পরিবারের মেয়ে তিনি। টানা ৪ ঘণ্টা প্রস্থেটিক মেকআপ করতেন। তুলতে ঘণ্টা দুই। প্রথম দিন রূপরেখাকে দেখে তাঁর মা প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলেন। ভূত হয়ে আর কী করতে হয়েছে? ছোট্ট মেয়ের দাবি, অ্যাকশন দৃশ্যেও দেখা যাবে তাঁকে। এক বার গাড়ির উপর আছড়ে পড়তে গিয়ে কেলেঙ্কারি! থুতনি কেটে একাকার। সেলাই না পড়লেও রক্তারক্তি কাণ্ড।
শুধুই মানুষ নয়, মায়ানগরীরও প্রেমে পড়েছেন রূপকথা। কলকাতায় ফিরে তাই আরবসাগর মিস্ করছেন। সান্ত্বনা, এক মাস পরেই আবার শুট। আপাতত ফোনেই সকলের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন।