খোলা চোখে দেখা স্বপ্ন নাকি কখনও অধরা থাকে না। ইচ্ছে থাকলে তা বাস্তবায়িত হবেই। তবে তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রমের।
এই প্রবাদগুলি সঠিক প্রমাণ করে তুলেছেন জনপ্রিয় গায়ক এ আর রহমান। কঠোর পরিশ্রমেই নিজের স্বপ্নপূরণ করে তুলেছেন তিনি। অনুরাগীদের কাছে তিনি তাই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
মাত্র ৪বছর বয়সে কিবোর্ড বাজানো শিখে ফেলেছিলেন তিনি। তার পরই সুরের জগতের প্রতি আলাদা ভালবাসা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি।
মাত্র ৯ বছর বয়সে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। খেলাধূলা করার সেই বয়সেই পরিবারের সমস্ত ভার কাঁধে তুলে নিতে হয় তাঁকে।
পরবর্তীকালে ‘রুটস’ নামে একটি গানের ব্যান্ড-এর সঙ্গে তিনি যুক্ত হন। ওই ব্যান্ড-এ কিবোর্ড বাজাতেন তিনি। সেখান থেকে যা উপার্জন করতেন তা দিয়েই সংসার চালাতেন।
কঠোর পরিশ্রমের পর ২০০৮ সালে ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়র’-এর সৌজন্যে তিনি অস্কার পান। তারপরই তাঁর কেরিয়ার একেবারে শিখরে পৌঁছে যায়।
গানের জন্য মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন শহরে যেতে হয় তাঁকে। সবচেয়ে বেশি যাতায়াত রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে। তাই দেশের পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলসেও একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর।
তেমনই চেন্নাই এবং মুম্বইয়েও তাঁর একটি করে বাড়ি রয়েছে। কোনও গানে সুর দেওয়ার আগে প্রচণ্ড মনোযোগ প্রয়োজন। চেন্নাইয়ের বাড়ির অন্দরমহল তার জন্য উপযুক্ত। পরিবেশও তেমনই শান্ত।
এই বাড়ির মধ্যে আস্ত মিউজিক স্টুডিয়ো গড়ে তুলেছেন তিনি। একই ভাবে তাঁর লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতেও রয়েছে স্টুডিয়ো।
চেন্নাইয়ের বাড়িটির বৈঠকখানাতে চামড়ার আরামদায়ক বড় সোফা রয়েছে।
তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়িটিই যেন একটি পিয়ানো। যার সামনে আবার বসার ব্যবস্থাও রয়েছে।
চেন্নাই এবং লস অ্যাঞ্জেলসে বাড়িটির মূল্য কত জানা যায়নি, তবে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িটির মূল্য কত জানেন?
১৫ কোটি টাকা দিয়ে ২০০১ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। এ ছাড়া জাগুয়ার, মার্সিডিজ-সহ একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে তাঁর।