(বাঁ দিকে) গওহর খান। সুরভীন চাওলা ( ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত মাসেই প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী গওহর খান। তিনি জানিয়েছেন, পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মাত্র দশ দিনে দশ কেজি ওজন কমেছে তাঁর। ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি ভাগ করে এই খবর জানাতেই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। সদ্য মা হওয়া একজনের এত দ্রুত এতখানি ওজন ঝরে যাওয়া কী করে সম্ভব? সমাজমাধ্যমে অনেকে লিখলেন, খুব স্বাস্থ্যকর লক্ষণ নয় এটা। অনেকের কাছেই ব্যাপারটা অবাস্তব বলে মনে হল। নেটদুনিয়ায় বিদ্রুপ শোনা গেল গওহরকে নিয়ে।
যদিও গওহরের পাশে দাঁড়ালেন আর এক অভিনেত্রী সুরভীন চাওলা। তাঁর মত, বাইরের লোকের এ সব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। কখন, কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, সেটা নতুন মায়ের ভাবনা বলে স্পষ্ট জানান তিনি।
তিনি বলেন, “কারও ওজন নিয়ে আলোচনা করাটা খুব উদ্ভট ব্যাপার। এ সব বিষয়ে কথা বলা অর্থহীন। দশ দিনে দশ কেজি ওজন ঝরল না কি একশো কিলো, মাতৃত্বের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্কই নেই।”
৩৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী সুরভীন নিজে মা হয়েছেন ২০১৯ সালে। মাতৃত্বের পর্বে শরীরের নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনিও। মানসিক চাপও ছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলেলেন, “কত দিনে মা তাঁর আগের চেহারায় ফিরে যাবেন, কতটা ওজন ঝরাবেন, এটা তো খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার। অন্য কারও আলোচনার বিষয় হতে পারে না এটা। ”
অবশ্য সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মায়ের ওজন নিয়ে আগেও অনেক অভিনেত্রীকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নেহা ধুপিয়া, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সুরভীন বলেন, “সবার বোঝা উচিত যে, সমাজমাধ্যমের প্রভাব আমাদের চেয়ে ঢের বেশি। আমাদের কাজ নিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে কথা হোক, সমালোচনাও হোক। আমরা পাবলিক ফিগার, এগুলো মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু একজন মাকে নিয়ে, তাঁর ওজন নিয়ে, তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে কথা বলা কেন? বিশেষ করে যখন নারীশরীর একটা বিরাট পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়? ”
সুরভীনের আশা, এই মানসিকতার বদল হবে।