(বাঁ দিকে) সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বিরসা দাশগুপ্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যোমকেশ নিয়ে টলিপাড়া যে আপাতত দুই শিবিরে বিভক্ত, তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক দিকে, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ওটিটিতে নিয়ে আসছেন ব্যোমকেশ। অন্য দিকে, সেই একই গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ব্যোমকেশ রূপে হাজির হবেন দেব। তাই টলিপাড়ায় দুই ব্যোমকেশ নিয়ে ‘প্রতিযোগিতা’র আভাস আগেই মিলেছিল।
দুই ব্যোমকেশেরই শুটিং শেষ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে ব্যোমকেশ নিয়ে নির্মাতারা কেউ কাউকে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ। কারণ, সূত্রের খবর অগস্ট মাসে একই দিনে নাকি দর্শকের সামনে আসতে চলেছে দুই ব্যোমকেশ। ব্যোমকেশ হিসেবে সৃজিত বাজি ধরেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যের উপর। অন্য দিকে, বিরসা দাসগুপ্তের পরিচালনায় ব্যোমকেশ হয়েছেন দেব। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যা-ই বলা হোক না কেন, কাজের বাইরে যে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী, আরও এক বার তার প্রমাণ মিলল। প্রমাণ দিলেন দুই ব্যোমকেশের পরিচালক সৃজিত এবং বিরসা।
সম্প্রতি যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার ঘোষণা করেছেন। সেই উপলক্ষে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্টদের। সেখানে হাজির ছিলেন সৃজিত এবং বিরসা। দু’জনে কিন্তু চুটিয়ে আড্ডা দিলেন। ছবিও তুললেন। বিরসার সঙ্গে তোলা সেলফি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন সৃজিত। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘দ্য দুর্গ বয়েজ়!’’
ইন্ডাস্ট্রিতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে ব্যোমকেশ নিয়ে দুই পরিচালকের দ্বৈরথ চলছে। বিষয়টাকে কী ভাবে দেখছেন পরিচালকদ্বয়? বিরসা হেসে বললেন, ‘‘আলাদা মাধ্যমের জন্য দুটো ব্যোমকেশ তৈরি হচ্ছে। গল্পটা এক বলে হয়তো মানুষ প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে আনছেন। ছোট ইন্ডাস্ট্রি, আমরা পেশাদার। তাই রেষারেষি করে তো কারও লাভ নেই।’’
সৃজিতের সঙ্গে বিরসার বন্ধুত্বও দীর্ঘ দিনের। সে কথা মনে করিয়ে বিরসা বললেন, ‘‘এখন আমরা দু’জনেই মুম্বইতে কাজ করি। ফিরে এসে আবার বাংলায় কাজ করছি। আমরা বন্ধু ছিলাম, ভবিষ্যতেও বন্ধু থাকব।’’ তবে ‘লড়াই’ বা ‘টক্কর’-এর মতো শব্দগুলোর তুলনায় তিনি যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী, সে কথাও জোরগলায় জানালেন বিরসা।