সাতপাক ঘুরেই ফেললেন ধারাবাহিক ‘মন ফাগুন’-এর ‘ড. ময়ূখ’! না না, পাত্রী ঋষিরাজের দিদি রুশা নন। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী অর্পিতা তিওয়ারি। বিয়ের আগে জমিয়ে ফোটোশ্যুট দু’জনের। পর্দার খোলস ছেড়ে ‘ড. ময়ূখ’ এ দিন বাস্তবের অভিনেতা হৃতজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
কোনও দিন তাঁদের পোশাকে উজ্জ্বল আর পেলব কমলার যুগলবন্দি, কোনও দিন তাঁরা সাদা-কালো। এ ভাবেই হাঁটু মুড়ে বসে চেনা ভঙ্গিতে অর্পিতাকে প্রস্তাব হৃতজিতের, “তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
এরই ফাঁকে আইবুড়ো ভাত। দিদির বাড়িতে জমিয়ে যুগলে। ‘মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর’ তাঁদের পাতে!
সবচেয়ে অভিনব আইবুড়ো ভাত ‘দিদি নং ১’ শো-তে। কপালে তেল-হলুদ ছুঁইয়ে, মাথায় ধান-ধুব্বো রেখে আশীর্বাদ স্বয়ং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেও ছিল এলাহি খানা। এখানেই ফাঁস তাঁদের প্রেমের কাহিনি।
বিয়ের দিন লাল বেনারসিতে পঞ্জাবি কনে, বাঙালি বধূ। কপালে চন্দন, সালঙ্কারা অর্পিতা। লাল ধুতিতে যোগ্য সঙ্গত হৃতজিতের। গায়ে গরদের জোড়।
নিয়ম মেনে মালাবদল, সপ্তপদী কিচ্ছু বাকি থাকেনি। হৃতজিৎ কি নিজের মালা অর্পিতার গলায় পরানোর সময় গুনগুনিয়ে উঠেছিলেন, ‘বাঁধনে বাঁধিব তোমায়...’?
মন্ত্র পড়ে যজ্ঞ। তাতে খইয়ের আহুতি। তার পরেই সিঁদুরদান। অর্পিতা সে দিন থেকেই শ্রীমতী চট্টোপাধ্যায়।
সিঁদুরদান মানেই মেয়ে পরের ঘরের বৌ। তিওয়ারি যখন চট্টোপাধ্যায়, একান্ত আলাপও স্বাভাবিক।
সেই ভালবাসা বৌভাতের সকালেও। নিজের হাতে নতুন বৌকে মাছের ল্যাজা খাইয়ে দিয়েছেন হৃতজিৎ। অর্পিতা কর্তার পাতে পরিবেশন করেছেন মুড়ো।