Esha Deol

ধর্মেন্দ্র-কন্যার থাপ্পড় আলোড়ন তুলেছিল বলিউডে, হেনস্থার প্রতিবাদ নিয়ে কী বললেন এষা?

এষার দাবি, সমস্ত মহিলার উচিত এ ভাবে প্রতিবাদ করা। হেনস্থার সম্মুখীন হলে ভয় পেয়ে নয়, ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৯
Share:

প্রতিবাদী এষা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

কেউ চান বেছে বেছে মারতে (‘চুন চুনকে মারুঙ্গা’), কেউ হুমকি দেন আড়াই কিলোর হাত বড্ড ভারী (‘ঢাই কিলো কা হাত যব পড়তা হ্যায়...) বলে। প্রথম জন যাঁর বাবা, দ্বিতীয় জন যাঁর দাদা, তিনি কি সহ্য করবেন অসভ্যতা! এমন প্রত্যাশা করাই বোধহয় উচিত নয়। সহ্য করেননি এষা দেওলও। সেটা ২০০৫ সালের কথা। অভিনেত্রীর ছবি ‘দশ’ মুক্তি পেতে চলেছে। প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে তাঁর খুব কাছে চলে আসেন এক ব্যক্তি। নিরাপত্তার ঘেরাটোপেও এমন আচরণ হতভম্ভ করলেও মুহূর্তে সামলে নেন এষা। ওই ব্যক্তির হাত ধরে সপাটে এক চড় মারেন গালে। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে খবর। তখনও ‘ভাইরাল’ প্রবণতা তৈরি হয়নি। কারণ সমাজমাধ্যমের রমরমা ছড়ায়নি ভারতে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র-কন্যা, সানি দেওলের বোনের এমন কাণ্ড হইহই ফেলে দিয়েছিল। অনেকেই সে সময়ে প্রশংসা করেছিলেন এষার সাহসের। সম্প্রতি সেই ঘটনার উল্লেখ করে এষা জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে এষাকে হেনস্থার কথা জিজ্ঞেস করা হয়। সেই প্রসঙ্গেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। পুণায় সেই সময় তাঁর ছবি ‘দশ’-এর প্রিমিয়ার চলছে। সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেট্টি, অভিষেক বচ্চন, জ়ায়েদ খানের সঙ্গে তিনিও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই তারকারা প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করছিলেন। তিন-চার জন নিরাপত্তারক্ষী ঘিরে ছিলেন এষাকে। তবু তারই মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ।

এষা বলেন, “সঙ্গে সঙ্গে আমি ওই ব্যক্তির হাত ধরে ফেলি। ভিড় থেকে টেনে এক পাশে নিয়ে এসে গালে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিই।” অভিনেত্রীর এমন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চমকে যান সকলেই। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিনেমাপ্রেমীরা ধর্মেন্দ্র এবং সানির কথা উল্লেখ করতে শুরু করেন। দেওল পরিবারের মেয়ের থেকে নাকি এমন প্রতিবাদই প্রত্যাশিত। এষা যদিও দাবি করেছেন, তিনি মোটেও মাথাগরম করার মানুষ নন। তাঁর কথায়, “খুব অল্পে আমি মাথাগরম করি না। কিন্তু কেউ যদি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় তা হলে আমার কিছু করার থাকে না।”

Advertisement

এষার দাবি, সমস্ত মহিলার উচিত এ ভাবে প্রতিবাদ করা। হেনস্থার সম্মুখীন হলে ভয় পেয়ে নয়, ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। তিনি বলেন, “পুরুষ শারীরিক ভাবে শক্তিশালী বলে তাঁরা সমস্ত রকম সুবিধা নিতে পারেন না। মেয়েদের প্রতিবাদ করতেই হবে। আমি মনে করি মহিলারা মানসিক ভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।”

ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনির বড় মেয়ে এষা বলিউডে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’ ছবি দিয়ে। বেশ কিছু সফল ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি বিরতি নিয়েছিলেন। আপাতত নতুন ছবির কাজে ব্যস্ত। শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে তাঁর আগামী ছবির নাম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement