চলচ্চিত্র উৎসব বয়কটের প্রশ্ন নেই: পরমব্রত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বয়কট করছেন বিক্ষুব্ধ পরিচালকেরা, এমনই রব উঠেছিল উৎসব শুরুর বেশ কিছু দিন আগে থেকে। নেপথ্যে ফেডারেশনের সঙ্গে পরিচালকদের টানাপড়েন। এ-ও শোনা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাকি দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে। সেই সময় অভিনেতা কৌশিক সেন আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে হ্যাংলামি করার কিছু নেই। যদি মনে করি ভাল ছবি দেখব, তা হলে ‘ডেলিগেট কার্ড’ কিংবা টিকিট কেটে সিনেমা দেখতে যাব। সরকারি আমন্ত্রণের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকব না।”
উৎসবের প্রাক্কালে একই কথা বলেছেন পরিচালক গিল্ডের কার্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয় পরিচালকদের সংগঠনের তরফে। এ দিনই প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার বক্তব্য, “উৎসবের সঙ্গে পরিচালক সংগঠনের কোনও বিরোধ নেই। ফলে, বয়কটেরও কোনও প্রশ্ন নেই।” এ-ও জানান, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকতেন। যত সময় এগিয়ে গিয়েছে ততই উদ্যাপনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বেশি করে। ফলে, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে উৎসবে উপস্থিত না থাকার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন, সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়, কার্যকরী সমিতির সদস্য পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ অনেকেই। তাঁরাও কি পরমব্রতের পথেই পা বাড়াবেন? প্রশ্ন ছিল তাঁদের কাছে। পরিচালক-অভিনেত্রী সুদেষ্ণার কথায়, “আমার ছবি এ বারের চলচ্চিত্র উৎসবে থাকছে। প্রতি বারের মতো আমিও উৎসবে থাকব।” একই সুর বাকি পরিচালকদেরও। তাঁরাও জানিয়েছেন, কাজের ফাঁকে সময় বার করে অবশ্যই উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন প্রতি বছরের মতো।