— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে নিরাপত্তাবাহিনীর আট জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এ বার জানা গেল, নিহত আট জনের মধ্যে পাঁচ জনই ছিলেন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা! আত্মসমর্পণের পর বছর দুয়েক আগে নিরাপত্তাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
বস্তার পুলিশের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হেড কনস্টেবল বুধরাম করসা, কনস্টেবল দুম্মা মারকাম, পান্ডারু রাম এবং বামন সোধি। তাঁরা সকলেই ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’ (ডিআরজি) বাহিনীর জওয়ান ছিলেন। এ ছাড়া, মৃত্যু হয়েছে ‘বস্তার ফাইটার্স’ বাহিনীর কনস্টেবল সোমদু ভেট্টির। এঁদের মধ্যে বুধরাম এবং বামন বিজাপুরেরই স্থানীয় বাসিন্দা। বাকি তিন জন পার্শ্ববর্তী দান্তেওয়াড়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাঁচ জওয়ানই আগে মাওবাদী হিসাবে সক্রিয় ছিলেন। বছর দুয়েক আগে আত্মসমর্পণের পরে পুলিশবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত ডিআরজি-র জওয়ানদের বেশির ভাগই স্থানীয়। এলাকার যুবক এবং বস্তারে আত্মসমর্পণ করা মাওবাদীদের মধ্যে থেকেই বেছে বেছে ডিআরজি-তে নিয়োগ করা হয়। যে হেতু আত্মসমর্পণ করা মাওবাদীরা সক্রিয় মাওবাদীদের হালহকিকত অন্যদের চেয়ে ভাল জানেন, তাই ডিআরজি-ই হয়ে উঠেছে রাজ্যের অন্যতম প্রধান মাওবাদী- বিরোধী শক্তি। গত বছর বস্তার অঞ্চলের সাতটি জেলা মিলিয়ে মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ দিয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীতে।
সোমবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল মাওবাদীদের শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর আট জওয়ান এবং গাড়ির চালক ওই হামলায় নিহত হন। বেদ্রে-কুতরু রোডের পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা অংশে মাওবাদীদের পাতা ল্যান্ডমাইনের ‘ফাঁদে’ পড়ে ওই গাড়িটি। এই ঘটনার পরেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইনসন্ধানী যন্ত্র এনে বস্তার জেলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। মঙ্গলে সেই ঘটনাস্থলের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বিজাপুরের পড়শি জেলা সুকমা থেকে আইইডি উদ্ধার করেছে পুলিশ।