রাজ্য সরকারের ভূমিকায় হতাশ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
“এ বার যা হবে, আইনি পথে। ডিরেক্টর্স গিল্ড এবং ফেডারেশনের সদস্যেরা আগামীতে যা যা সমস্যার মধ্যে পড়বেন, আইনের সাহায্যেই তার মীমাংসা হবে। মৌখিক ভাবে আর কিছুই হবে না”, মঙ্গলবার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পরিচালক সংগঠনের আইনি পদক্ষেপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর বললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা সংগঠনের কার্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য। এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনেও যথেষ্ট সরব ছিলেন তিনি।
গিল্ড আর ফেডারেশনের কাজিয়ার শুরুয়াত জুলাই মাসে। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সেই বিরোধ এতটাই চরম আকার ধারণ করে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। পরমব্রতের কথায়, “সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিচালক গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ-অভিনেতা দেব, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির উপরে দায়িত্ব ছিল, তিন মাসের মধ্যে ফেডারেশনের তুঘলকি কার্যকলাপ খতিয়ে দেখবে।” তিন মাস দূর অস্ত, প্রায় চার মাসের কাছাকাছি পৌঁছেও সেই কমিটি গঠন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যথা নেই রাজ্য সরকারেরও।
হতাশার সুর অভিনেতার কণ্ঠে। একই সঙ্গে আফসোস, গিল্ড রাজ্য সরকারের উপরেই ভরসা করতে চেয়েছিল। সেই ভরসা ফলপ্রসূ না হওয়ায় আইনি পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে পরিচালক সংগঠন। আগামীতে অন্যান্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হলেও সংগঠন তা-ই করবে। পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে কটূক্তিও করতে শোনা গিয়েছে ফেডারেশনের সদস্যদের। পরমব্রতের মতে, তার জন্য ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুলাই মাস থেকে গিল্ড-ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরেও কেন দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন না? পরমব্রতের কথায়, “আমাদের বিরুদ্ধে যে ভাবে বিষোদ্গার করা হয়েছে তার পরে আর হাসিমুখে চা-শিঙাড়া খেতে খেতে আলোচনা সম্ভব নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে দুই পক্ষের আলোচনা হতেই পারত। কিন্তু কেউই তার উদ্যোগ নেয়নি।”