মোদীকে বিশেষ পরামর্শ দিলজিতের। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেই সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ পরামর্শও নাকি দিয়েছিলেন দিলজিৎ।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীত সংক্রান্ত নানা উৎসব হয়ে থাকে। এই ধরনের উৎসবে দিলজিতের অভিজ্ঞতা জানতে চান মোদী। এই উৎসবগুলিতে কোন ভাষায়, কী ধরনের গান হয়, জানতে আগ্রহী ছিলেন মোদী। সেই প্রশ্নের উত্তরেই দিলজিৎ একটি আর্জি জানান। বিদেশের মতো ভারতেও এই ধরনের সঙ্গীত উৎসব হতে পারে। মনে করেন দিলজিৎ।
গায়ক সেই দিন মোদীকে বলেন, “স্যর, বিদেশে ‘কোচেলা’ (ক্যালিফোর্নিয়ার সঙ্গীত উৎসব) বা অন্য সঙ্গীত উৎসব বিরাট আকার নিয়েছে। আমরাও এমন বড় কিছু করতে পারি। এমন উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসে।”
বেশ কিছু অভিনব পরিকল্পনা জানিয়েছেন দিলজিৎ। পঞ্জাবি গায়কের ভাবনা, “আমাদের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র রয়েছে। যেমন, আমরা কোনও ধাবায় বসে খাবার খাচ্ছি আর তার সঙ্গে কেউ রাজস্থানি গান গাইছেন। কী অপূর্ব শুনতে লাগে এই গান। এমন গান শুনে মনে হয়, আমার গান গাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গান গাওয়া আমার পেশা। কিন্তু এই গায়কেরা কী অসাধারণ।”
দিলজিৎ মনে করেন, দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে থাকা এমন বহু সঙ্গীতশিল্পীর পরিচিতি পাওয়া উচিত। তাই মোদীকে তাঁর পরামর্শ, ভারতেও এমন বড় মাপের উৎসব হওয়া উচিত। তা হলে সারা বিশ্ব থেকে এই দেশে মানুষ আসবেন। দিলজিতের কথায়, “সারা বিশ্বে সৃজনশীলতার কেন্দ্র হয়ে উঠবে ভারত। আমি এক বার জার্মানির চ্যান্সেলর মার্কেলের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমাদের দেশের সঙ্গীত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, আমাদের এখানে সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে ভিন্ন ধরনের সঙ্গীত হয়। আমাদের এখানে ভিন্ন অনুভূতির জন্য ভিন্ন ধরনের সঙ্গীত রয়েছে।”