চাঙ্কি পাণ্ডে।
সালটা ১৯৯২। ‘বিশ্বাত্মা’ ছবির রোম্যান্টিক গানের শ্যুটিংয়ের জন্য আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছিলেন চাঙ্কি পাণ্ডে এবং জ্যোৎস্না সিংহ। কিন্তু গোটা টিম নিয়ে শ্যুট করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি! এত মানুষের ভিড় দেখে ভয়ে পালিয়ে গেল সব পশুপাখি। এ দিকে গানের জন্য তাদের উপস্থিতিও জরুরি। পর দিন তাই কয়েকজন ক্রিউ সদস্য সহ নায়ক-নায়িকা আবারও গিয়ে পৌঁছলেন একই জায়গায়। অপেক্ষাকৃত ছোট টিম আসায় এ বার আর কোনও সমস্যা হয়নি। শুরু হয় শ্যুটিং। গাড়ি থেকে নেমে মনের আনন্দে নায়িকার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নাচতে শুরু করেছেন চাঙ্কি। । পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্য জন্তুরা। ঠিক যেমনটা দরকার ছিল গানের জন্য।
এত দূর অবধি সবটাই মিলল। তাল কাটল এর পর। হঠাৎ গাড়ি থেকে এক দল ট্যুরিষ্টকে নানা রকম ভঙ্গি করে ইশারা করতে দেখলেন তাঁরা। দেখে মনে হচ্ছিল, সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল তাঁদের। পিছন ফিরতেই চাঙ্কি দেখলেন, ঠিক ২৫ ফুট দূরে এক সিংহ দম্পতি দাঁড়িয়ে চেয়ে রয়েছে তাঁদের দিকে! যেন বোঝার চেষ্টা করছিল, আসলে কী ঘটছে। এর পর আর একটা মুহূর্তও সেখানে থাকেনি ছবির টিম। জিনিসপত্র গুটিয়ে বেরিয়ে আসে জঙ্গল থেকে। বছর ৩০ আগের এই ঘটনার স্মৃতি আজও উজ্জ্বল চাঙ্কির মনে।
এই একই ছবির আরও একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়েও নাস্তানাবুদ অভিনেতা। একটি হোটেলের ক্যাসিনোয় চলছিল শ্যুট এবং সেই হোটেলের কর্মচারীর কস্টিউমেই শট দিচ্ছিলেন অভিনেতা। কাজের ফাঁকে সিগারেট খেতে বাইরে আসতেই এক ব্যক্তি অভিনেতার হাতে টিপ ধরিয়ে চলে যান। চাঙ্কিকে ওই পোশাকে দেখে তিনি তাঁকে সেখানকার কর্মী ভেবে বসেছিলেন।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই গল্পগুলি ফাঁস করেছেন চাঙ্কি। কেরিয়ারের সোনালি দিনগুলি আরও এক বার ফিরে দেখলেন অভিনেতা।