ভিক্টোরিয়ায় পরিবেশ দূষণ হয়েছে, অভিযোগ মিমি চক্রবর্তীর।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে। সেই তরজায় এ বার জুড়ে গেল পরিবেশ দূষিত করার অভিযোগও।
অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রশ্ন তুললেন, ‘ভিক্টোরিয়ায় তো খাবারের প্যাকেট নিয়ে ঢোকা যায় না বলেই জানতাম। কিন্তু, আপনারা যে হেতু ‘আপনারা’, তাই সেই নিয়ম কি ভাঙতেই পারেন’?
প্রাতঃভ্রমণকারীদের নিয়মিত গন্তব্য ভিক্টোরিয়া। গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এই এলাকায় যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে পরদিন সকাল থেকেই।
প্রাতঃভ্রমণকারীরা অভিযোগ করেন, খাবারের প্যাকেট, তেলের ফাঁকা ক্যান, ময়লা ফেলার ব্যাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে এখানে। যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী সরব হয়েছেন তাই নিয়েই। টুইটারে তাঁর প্রশ্ন, ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো জাতীয় হেরিটেজ ভবনে যখন কোনও অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছেন আপনারা, তখন সেই জায়গাটিকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়ও কি আপনাদের নয়’?
আনন্দবাজার ডি়জিটাল এ ব্যাপারে মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘‘আমি বলতে চেয়েছি, ভিক্টোরিয়া দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্পদ।এখানে যাঁরা প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন, তাঁরাও ভিক্টোরিয়ার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সতর্ক থাকেন। সেখানে একটা অনুষ্ঠান যাঁরা আয়োজন করলেন, তাঁরা যথেচ্ছ জলের প্যাকেট, খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে গেলেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্পদকে কি এ ভাবে নষ্ট করা যায়!’’
ভিক্টোরিয়ায় ‘জয় শ্রীরাম’ বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে মিমি বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে কে তো অপমান করা হয়েছেই। তার উপর বাংলার ঐতিহ্যবাহী সম্পদকেও নষ্ট করেছে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরা।’’ টুইটারে লিখেছন, ‘সব সময়ই ব্যাপারটা রাজনীতি কেন্দ্রিক নয়। কিছু নীতিবোধও থাকে। তা যদি সে দিন ভিক্টোরিয়ায় আসা অতিথিদের থাকত, তবে এই দৃশ্যদূষণ আটকানো যেত’।