বুধবার বনি সেনগুপ্তকে প্রথম দেখা যায় হাবড়ার ১৫ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা অর্ঘ্য ঘোষের হয়ে রোড শো প্রচারে।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের পথেই হাঁটছেন বনি সেনগুপ্তও। নভেম্বরে টুইট করে শ্রাবন্তী বিজেপি ছেড়েছেন। তার পরেই শাসকদলের সভা, মিছিলে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি, পুরভোট নির্বাচনেও শাসকদলের হয়ে প্রচারে বেরোচ্ছেন। খবর, অভিনেত্রী নাকি বলেওছেন, তিনি জোড়াফুলেই আছেন। শ্রাবন্তীর পরেই টুইট করে বিরোধী দল ছাড়েন বনি। তৃণমূল শিবিরে তাঁর উপস্থিতি ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। বুধবার তাঁকে প্রথম দেখা যায় হাবড়ার ১৫ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা অর্ঘ্য ঘোষের হয়ে রোড শো প্রচারে। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বনি জানিয়েছেন, শুক্রবার তিনি থাকবেন কৃষ্ণনগরে। সেখানকার ১৫ নং ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির হয়ে প্রচারে বেরোবেন তিনি।
মা পিয়া সেনগুপ্ত শাসকদলের সমর্থক। হবু স্ত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতেই তাই খুশি সেনগুপ্ত পরিবার। প্রচারে বেরিয়ে কেমন অভ্যর্থনা পাচ্ছেন অভিনেতা? ‘‘আক্ষরিক ভাবেই ফুল বিছানো রাস্তায় হাঁটছি। হাবড়ায় জিপে চেপে রোড শো-তে বেরিয়েছি। মনে একটু অস্বস্তি ছিল। সদ্য বিরোধী দল ছেড়েছি। শাসকদল বা অঞ্চলবাসী কীভাবে নেবেন! দেখলাম, সবাই খুব খুশি। রাস্তায় ফুল ছড়ানো। গাড়ি ঢেকে গিয়েছিল ফুলের পাপড়িতে। মালা, পুষ্পস্তবকে একটা সময় প্রায় চাপা পড়ে গিয়েছিলাম। এতটাও আশা করিনি।’’
পাশাপাশি, বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে প্রচারে ছিলেন বনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলে নাম লেখালেও শাসকদল থেকে তাঁর নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হত। অথচ, নির্বাচনের পরে বিরোধী দলের কেউ তাঁর দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি! জোড়াফুলের অন্দরে পাকাপাকি কবে দেখা যাবে বনিকে? অভিনেতার কথায়, ‘‘শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা আমায় ভালবাসেন। তাই প্রচারে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়েছি। আশা, খুব শিগগিরিই হয়তো দলে থেকে কাজের সুযোগও মিলবে।’’ রাজনীতির সঙ্গেই অভিনয় চালিয়ে যেতে চান তিনি। তাই শেষুহূর্তের প্রচার সেরেই মার্চ থেকে শুরু করবেন দুটো নতুন ছবির শ্যুটিং।