এঁরা প্রত্যেকেই দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী। অথচ অ্যালকোহল এবং ড্রাগের নেশা তাঁদের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিল।
সঞ্জয় দত্ত: মুন্নাভাইকে ড্রাগ এবং অ্যালকোহলের নেশার জন্য অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে। কেরিয়ারে প্রচুর ক্ষতি তো হয়েইছে, পাশাপাশি তাঁর প্রেমিকা টিনা মুনিমও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এই নেশার জন্য।
ধর্মেন্দ্র: ১৫ বছর ধরে অ্যালকোহলের নেশায় বুঁদ ধর্মেন্দ্র। তাঁর ছবি ‘ইমলা পাগলা দিওয়ানা’ মুক্তি পাওয়ার সময় তিনি নিজে মুখে স্বীকারও করেন যে, তাঁর কেরিয়ার অ্যালকোহলের জন্য শেষ হয়ে গিয়েছিল।
পরভীন ববি: একসময়ের ভীষণ গর্জিয়াস এই নায়িকার জীবন কিন্তু খুবই হতাশার। মহেশ ভট্টের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পর তিনি এলএসডি-তে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার পাশাপাশি চলত বাঁধনহীন অ্যালকোহল সেবন। এই অভ্যাস শুধু তাঁর কেরিয়ারই শেষ করে দেয়নি, জীবনটাও শেষ করে দিয়েছিল।
ইও ইও হানি সিংহ: র্যাপার-গায়ক হানি সিংহও অ্যালকোহল এবং ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছিলেন এক সময়। এই নেশা তাঁকে এতটাই কাবু করে ফেলেছিল যে, রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে তাঁকে থাকতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য।
মনীশা কৈরালা: মনীশা কৈরালা তখন তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে, সে সময়ই তিনি অ্যালকোহলে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মনে করা হয়, তাঁর স্বামী সম্রাট দাহালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতিই এই নেশার কারণ। ডিভোর্সের পর তাঁর ডিম্বাশয়ে ক্যানসার হয়। চিকিৎসা করিয়ে এই মারণরোগের সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করে চলেছেন এখন।
মীনা কুমারী: বলিউডের ট্রাজেডি কুইন। এই নামেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। সাহেব বিবি গোলাম ফিল্মে অ্যালকোহলিক স্ত্রীয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিনয় ভীষণ প্রশংসিত হয়েছিল। পরে বাস্তবেও তিনি অ্যালকোহলের নেশায় ডুবে যান। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪০ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
রাজেশ খন্না: দীর্ঘ সময় তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করেছেন। তাঁর ১৫টা ফিল্ম পর পর সুপার হিট হয়েছিল। কিন্তু এই স্টারডম সামলাতে পারেননি তিনি। নেশাগ্রস্ত হয়ে যান। সারাদিনই অ্যালকোহল তাঁর সঙ্গী ছিল। লিভার খারাপ হয়ে যায়।
ফরদিন খান: বলিউড তাঁকে প্রায় ভুলতেই বসেছে। তিনি একসময় ড্রাগের নেশায় বুঁদ ছিলেন। কোকেইন কিনতে গিয়ে গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
দিব্যা ভারতী: মাত্র ১৯ বছর বয়স থেকেই অ্যালকোহলের নেশা চেপে ধরে তাঁকে। এই নেশা শুধু তাঁর কেরিয়ারও ধ্বংস করে দেয়নি, সাত তলা থেকে তিনি পড়ে গিয়ে মারা যান। পরে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, ওই সময় অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন করেছিলেন তিনি।
বিজয় রাজ: না জেনে কাকের মাংসের বিরিয়ানি খেয়ে ফেলেছিলেন। কথা বলতে গেলেই ‘কা কা’ শব্দ বেরচ্ছিল মুখ থেকে। রান-এর সেই কৌয়া বিরিয়ানি অভিনেতা বিজয় রাজ ২০০৫ সালে দুবাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে বেআইনি ড্রাগ ছিল। ড্রাগের নেশার ছাপ পড়ে তাঁর কেরিয়ারেও।