পরীমণি।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।বহুল আলোচিত পরীমণি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন গত বছর ৪ অগস্ট। অনেক জলঘোলার পর জামিনে মুক্তি পান পরীমণি।
সেই মামলায় তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীমণি বিয়ে করেছেন অভিনেতা রাজকে। সন্তানসম্ভবা হয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রতিকূল শারীরিক পরিস্থিতিতেই সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিলেন নায়িকা। বাংলাদেশের সময় বেলা দশটায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দেন পরীমণি।
গত ১২ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে পরীমণি হাজিরা দিয়েছিলেন। ওদিনই দেখা যায় হাঁটতে চলতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। সে দিন পরীমণি সহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যায় আদালতে কোনও সাক্ষী উপস্থিত হননি। পরীমণির আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে পরীমণিকে যাতে আদালতে হাজিরা না দিতে হয়। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন ২ জুন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও একই দিন ধার্য করা হয়।
আজ মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবুর রহমান আদালতে উপস্থিত হন। তাঁকে জেরা করেন পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। জেরায় র্যাবের উপসহকারী পরিচালক মজিবুর রহমানকে পরীমণির বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন নীলাঞ্জনা। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করেন আগামী ১৯ জুলাই।
১৯ জুলাই আবার হাজিরা দিতে হবে পরীমণিকে? না। সন্তানসম্ভবা অভিনেত্রীকে যাতে আদালতে হাজিরা না দিতে হয়, এ বিষয়ে আদালতের আদেশ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তার রায় পরীমণির পক্ষে গিয়েছে।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাতের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঢাকার বিশেষ আদালত ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদেশ দিয়েছেন এই মাদক মামলায় পরীমণিকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হতে হবে না। এ ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।