বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণি ঢাকার এক হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অভিনেত্রী ফেসবুকে নিজের হাতের ছবি প্রকাশ করেন। বিবরণে লেখা, ‘অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট!’ যদিও অভিনেত্রীর কী হয়েছে, তা স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। পরে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী পরীমণির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেসবুকে লেখেন, ‘ওর হিমোগ্লোবিন সেই লেভেলের লো এবং ব্লাড প্রেশারও ৮০/৬০। মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল ভয়ংকর ভাবে। স্যালাইন চলছে। সঙ্গে অন্যান্য সব টেস্ট।’
অন্তঃসত্ত্বা পরীমণিকে শুভ কামনা জানিয়েছেন চয়নিকা সহ তাঁর বহু প্রিয়জন। তবে অসুস্থতার মধ্যেই মামলা নিয়ে সুখবর পৌঁছেছে অভিনেত্রীর কাছে। পরীমণির আবেদনের ভিত্তিতে আদেশের জন্য আগামী কাল মঙ্গলবার দিনটি ধার্য করেছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে ওই মামলা নিয়ে ইতিমধ্যে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। গত বছরের ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতার হন পরীমণি। ৩১ আগস্ট মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিনি। ৪ অক্টোবর পরীমণি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ১০ অক্টোবর পরীমণি আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন নেন। ১৫ নভেম্বর পরীমণি সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি পাঠানো হয় বিশেষ জজ আদালতে।
এ বছর ৫ জানুয়ারি পরীমণি সহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। পরীমণি সহ তিন জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনটিও না-মঞ্জুর করা হয়।
এরপর ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে যান পরীমণি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন আদেশ ও মামলা বাতিলের আবেদন করেন তিনি হাইকোর্টে। সোমবার মামলা বাতিলের জন্য পরীমণির সেই আবেদন বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিনটি ধার্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমকে নিয়ে গড়া হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ।
পরীমণির শারীরিক পরিস্থিতি কতটা গুরুতর? কাল কী রায় দেবে আদালত? দুটি বিষয় নিয়েই চিন্তিত পরীমণির ভক্তরা।