আয়েশা টাকিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার মুম্বই বিমানবন্দের দেখা যায় অভিনেত্রী আয়েশা তাকিয়াকে। বেশ লম্বা একটা সময় পর দেখা মিলল তাঁর। কিন্তু তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চারদিকে ‘গেল গেল’ রব উঠল। তবে এটা প্রথম নয়, ২০১৭ সাল থেকেই আয়েশার চেহারার আমূল পরিবর্তন ঘটে। অভিনেত্রীর আগের চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার বিস্তর ফারাক। প্লাস্টিক সার্জারি করে নাকি ঠোঁটের আদল সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে পাতায় চলছে কাঁটাছেড়া। অবশেষে পাল্টা জবাব দিলেন আয়েশা!
অভয় দেওলের বিপরীতে ‘সোচা না থা’-য় তাঁর সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই বলেছিলেন, আয়েশা লম্বা রেসের ঘোড়া। তাঁর প্রমাণও মিলেছিল নাগেশ কুকুনুরের ফিল্ম ‘ডোর’ বা সলমন খানের সঙ্গে ‘ওয়ান্টেড’-এ। কিন্তু, ফিল্মি দুনিয়ার ইঁদুরদৌড়ে শামিল না হয়ে হঠাৎই বলিউড থেকে গায়েব হয়ে যান আয়েষা। রাজনীতিবিদ আবু আজ়মির ছেলে ফারহান আজ়মির সঙ্গে চুটিয়ে ঘর-সংসারও শুরু করেন। সেটা ছিল ২০০৯ সাল। এর পর খান তিনেক ফিল্মে দেখা গেলেও সে রকম সাড়া ফেলতে পারেননি আয়েশা। বলিউড থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। তবু তাঁকে নিয়ে চর্চা শেষ হয়নি। মূলত চর্চার বিষয় চেহারা। শুক্রবার থেকে আয়েশার রূপ নিয়ে যে কাঁটাছেড়া শুরু হয়েছে তাতে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘মানুষ কী ভাবে তোমাকে দেখবে সেটা তোমার হাতে নেই। তুমি যাই করো না কেন, সেটা বিচার হয় অন্য মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। হয়তো তার সঙ্গে তোমার তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু তুমি তোমার কাজ করে যাও মন দিয়ে।’’
আয়েশা যখন বলিউডে পা রাখেন, তিনি ছিলেন ছটফটে মিষ্টি নায়িকা। বিজ্ঞাপনী জগৎ থেকে সোজা ফিল্মি পর্দায় আসার পর শুধুমাত্র চেহারাই নয়, নজর কেড়েছিল আয়েষা তাকিয়ার অভিনয়ও। সেই আয়েষার সঙ্গে সম্প্রতি দেখা হওয়ার পর ঘোর কাটছে না অনেকেরই।