দলজিৎ কৌর এবং নিখিল পটেল। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কয়েক দিন ধরেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কারণে চর্চায় রয়েছেন অভিনেত্রী দলজিৎ কৌর। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কেনিয়ার খ্যাতনামী ব্যবসায়ী নিখিল পটেলকে বিয়ে করেন দলজিৎ। এটা দলজিতের দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু, প্রথম বিবাহবার্ষিকীর আগেই ছন্দপতন। ছেলে জেদনকে নিয়ে কেনিয়া ছেড়ে মুম্বই ফিরে এসেছেন তিনি। নিজের নামের পাশ থেকে সরিয়ে দেন পটেল পদবি। সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘আনফলো’ করেছেন স্বামীকে। এ বার পাল্টা পদক্ষেপ নিলেন অভিনেত্রীর স্বামীও।
তাঁর প্রথম বিয়ে হয় ২০০৯ সালে ‘বিগ বস্’-এর প্রাক্তন প্রতিযোগী অভিনেতা শালিন ভনোটের সঙ্গে । ২০১৫ সালে ভেঙে যায় তাঁদের বিয়ে। যদিও তার মাঝেই জন্ম হয় তাঁদের ছেলে জেডনের। সেই সময় শালিনের উপর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তোলেন দলজিৎ। তার পর প্রায় ন’বছর কেটে গিয়েছে। নিখিলের মধ্যে ফের ভালবাসা খুঁজে পান দলজিৎ। ফের ঘর বাঁধেন। স্বপ্ন ছিল স্বামীর সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াবেন। বিয়ের আগে নেপালে গিয়ে বাগ্দান সারেন তাঁরা। মুম্বইতে ধর্মীয় আচার মেনেই বিয়ে হয় তাঁদের। তার পর মুম্বইয়ের পর্ব চুকিয়ে চলে যান আফ্রিকার একটি দেশে। কিন্তু সংসার টিকল না দলজিতের। তিনি বিয়ের আগেও জানিয়েছিলেন, ছেলের প্রয়োজন বাবা, সেই কারণেই এই বিয়ে। নিখিলের সঙ্গে আলাপের প্রথম দিনেই নাকি তাঁকে বাবা বলে সম্বোধন করেন দলজিতের ছেলে। নিখিলেরও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের দুই কন্যাসন্তান তাঁরও আছে। দলজিৎ বিয়ের পর তাঁর ছেলে ও নিখিলের দুই মেয়েকে নিয়েই সংসার পাতেন। তবে হঠাৎ কী কারণে এই বিচ্ছেদ, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দুই পক্ষ। যদিও দলজিৎকে বিয়ে করার পর নিখিল নিজের ইনস্টা বিবরণীতে লেখেন, ‘মেয়ে ও ছেলের বাবা’। অভিনেত্রী ছেলেকে নিয়ে ভারতে ফিরে যেতেই বদলে যায় নিখিলেন ‘বায়ো’ আগেরটা বদলে এখন করেছেন ‘মেয়ের বাবা’।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, বিয়ের পর মাস কয়েক মোটামুটি সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ক্রমে তাঁরা বুঝতে পারেন, একে অপরের জন্য সঠিক মানুষ নন তাঁরা। তাঁদের বোঝাপড়ার সমস্যা রয়েছে। মুম্বই ফিরে আসার আগের মাস দুয়েক নাকি তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। ছেলের কথা ভেবেই নাকি আপতত গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাইছেন অভিনেত্রী।