প্রসেন, দীপাংশুর প্রশংসায় অনুপম।
গান বাঁধেন। সুর দেন। নিজে গান। কিন্তু কাউকে কি হিংসে করেন অনুপম রায়? সমসাময়িক শিল্পী-সুরকার-গীতিকার কিংবা তাঁর আগের বা পরের প্রজন্মের কারও উপর কি ঈর্ষা আছে তাঁর?
শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় এমন সোজাসাপ্টা প্রশ্নের মুখোমুখি। কী বললেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী? ‘‘আমার কাউকে হিংসে হয় না। কাকে হিংসে করব?’’ জবাবে এসেছে পাল্টা প্রশ্ন।
নিজের উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন অনুপম। বলেছেন, ‘‘হিংসার এই অনুভূতি ভীষণ আপেক্ষিক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায়।’’ উদাহরণ হিসেবে নিজেরই ১০ বছরের পুরনো জীবনের তুলনা টানেন শিল্পী। তখন তিনি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। অনুপমের প্রশ্ন, তখন কি তা হলে কোনও সহকর্মীকে হিংসে করতে হত? আরও জানান, তাঁর কোনও প্রতিযোগী নেই।
এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে এই প্রজন্মের সেরা গীতিকার বেছে নেওয়ার প্রশ্ন। অনুপম এ ক্ষেত্রে অকপট। বলেন, ‘‘সুরকারের চেয়ে সেরা গীতিকার নিয়ে বলাটা আমার কাছে সহজ। সমসাময়িক গীতিকারদের মধ্যে প্রসেন এবং দীপাংশুর লেখা আমার খুব ভাল লাগে। ওঁদের ভীষণ সম্মান করি।’’
আড্ডায় অনুপম যদিও সহজে রেহাই পাননি। এর পরেই অনুরোধ ছিল, সুরকারদের মধ্যে কার কার নাম নেবেন তিনি? এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সংযত শিল্পী। বলেছেন জয় সরকার, প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের নাম।