বিচারক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন প্রতিযোগী সৌম্য চক্রবর্তী।
গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের মঞ্চ। প্রতিযোগী সৌম্য চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিচারক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। সমস্যা এমন আকার নিয়েছে যে, প্রতিযোগিতা ছেড়েই বেরিয়ে যেতে চাইছেন সৌম্য। একটি বিনোদন চ্যানেলের ভিডিয়োয় এ ঘটনা দেখেই শোরগোল জুড়েছেন অনুরাগীরা। কী নিয়ে ঝামেলা?
প্রতিযোগিতায় ‘চুপকেসে’ গানটি গেয়েছেন সৌম্য। অভিজিৎ ‘চুপকেসে’ উচ্চারণ নিয়ে খুঁত ধরেন। একই সঙ্গে জানান, খুব ভাল গাইলেও গানটিতে নাকি কোনও কথা বা ‘লিরিকস’ ছিল না! ঝগড়া বাধে দু’জনের। খোলাখুলি সমর্থন জানিয়ে প্রতিযোগীর পাশে দাঁড়ান তাঁর গুরু। প্রতিবাদ জানিয়ে স্বেচ্ছায় সৌম্য প্রতিযোগিতা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। ফলাফল কী? পরের পর্বে সৌম্য বাদ পড়েছেন প্রতিযোগিতা থেকে।
তার পরেই তুমুল বিতর্কের আঁচে পুড়ছে ওই প্রতিযোগিতা। অনুরাগীরা কেউ বলছেন নেপথ্যে রাজনীতি, কেউ বা বলছেন রেষারেষি। চ্যানেলের এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয় ঘটনার ঝলক দেখার পরে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি মনোমালিন্য ছায়া ফেলেছে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ওই রিয়্যালিটি শো-এ? উস্তাদ রশিদ খাঁ, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জিৎ, গঙ্গোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্রের গত তিন মাসের সংসারে! নাকি পুরোটাই টিআরপি বাড়ানোর ছক?
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। বিস্মিত রাজের কথায়, ‘‘একটি ভিডিয়ো পোস্ট দেখে এত চর্চা! পুরো অংশটি দেখার পরে বিতর্ক শুরু হলে ভাল হত।’’ তার পরেই হাসতে হাসতে তাঁর রসিকতা— সংবাদমাধ্যমই শো-এর টিআরপি রেটিং বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন চার বিচারকের অন্যতম জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, ‘‘যতটা রটেছে, আদৌ ততটা ঘটেনি। যে কোনও প্রতিযোগিতার অঙ্গ অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়া। সৌম্যর ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। বাদ পড়ে ওর যত না কষ্ট, আমাদের আরও বেশি। ফলে, এখানে বিতর্ক, রেষারেষি, রাজনীতি খুঁজতে না যাওয়াই ভাল।’’
প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার পরেই ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সৌম্যও। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাতে। যদিও পোস্টটি পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজের বক্তব্য— ‘‘আমার চোখে পড়েনি সৌম্যের ওই পোস্ট। ফলে, কিচ্ছু বলতে পারছি না।’’ জিতের কথায়, ‘‘প্রতিটি অনুষ্ঠানে কেউ সফল হবেন, এমনটা অসম্ভব। এ কথা স্বয়ং উস্তাদ বড়ে গোলাম আলির কথা। উস্তাদ রশিদ খানও সে কথা মানেন। সৌম্যর গান, ওর মঞ্চ সে দিন ওকে সঙ্গ দেয়নি। এর বেশি সত্যিই আমাদের চার বিচারকের আর কিছু বলার নেই।’’