—ফাইল ছবি।
সালটা ২০০৩। ‘খাকি’ছবির শুটিং করছিলেন ঐশ্বর্যা রাই। ছবিতে অক্ষয় কুমার, তুষার কপূর, অমিতাভ বচ্চন সহ অন্যরাও ছিলেন। তখনও অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যার তেমন কোনও যোগাযোগ স্থাপন হয়নি। নাসিকে চলছিল ছবির শুটিং। একটি দৃশ্যে ছুটন্ত জিপে থাকার কথা ছিল ঐশ্বর্যার। সেই মতোই জিপে ওঠেন অভিনেত্রী। কিন্তু এক সময় ভারসাম্য হারিয়ে অভিনেত্রী সটান ছিটকে পড়েন দূরে। তড়িঘড়ি হাসপাতলে পাঠাতে হয়েছিল নায়িকাকে। যদিও সেই সময় গাড়ি থামাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অক্ষয় কুমার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ ততক্ষণে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে একাধিক চোট পান ঐশ্বর্যা। পায়ের একটা অংশে গুরুতর আঘাত লাগে। ওই সময় ঐশ্বর্যার এমন দুর্ঘটনা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন অমিতাভ।
সেই সময় অমিতাভ নাকি ঐশ্বর্যার মায়ের সম্মতি নিয়ে রাতারাতি তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তাও আবার অনিল অম্বানীর ব্যক্তিগত বিমানে। ওই ঘটনার পর এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বলেন, ‘‘আসলে ওই ঘটনা দেখার পর টানা দুই দিন দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সব সময় ওটাই ভাসত চোখের সামনে। ওর পিঠ ক্যাকটাসের কাঁটায় আটকে গিয়েছিল। সেই দৃশ্য ভয়ঙ্কর। সারা শরীরে অসংখ্য গুরুতর চোট পেয়েছিল।” যদিও সকলের তৎপরতায় তড়িঘড়ি মুম্বই নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয় ঐশ্বর্যার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন অভিনেত্রী। এই ঘটনার প্রায় চার বছর পর বচ্চন পরিবারের বৌ হন ঐশ্বর্যা।