অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি যে রাজনীতিমনস্ক, বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিভিন্ন বার্তা তেমনই বলেছে। তিনি সমাজসচেতন, সে কথাও অনুমেয় ‘আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব’ গানে তাঁর অংশগ্রহণ নিয়ে। কেন্দ্রের এনআরসি বিলের প্রতিবাদে তৈরি এই গানে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কণ্ঠও শোনা গিয়েছিল। সেই তিনিই আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে চুপ! প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলানো দূরের কথা, সমাজমাধ্যমেও তাঁর কোনও বার্তা নেই! কোথায় তিনি? খবর, পরিচালক-অভিনেতা সদ্য পুজোর একটি বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিং সেরে উঠলেন। তাঁর সঙ্গে শুটিংয়ে ছিলেন যশ দাশগুপ্তও।
বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিংয়ে যশ দাশগুপ্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে অভিনেতারা নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এই ধরনের বিজ্ঞাপনী শুটিং করে থাকেন। একই ভাবে অনির্বাণ-যশও নামী সংস্থার একটি পোশাক বিপণির হয়ে কাজ করলেন। প্রযোজনায় এসভিএফ। ইতিমধ্যেই শুটিংয়ের কিছু ছবি প্রকাশ্যে। ছবি অনুযায়ী, পাঞ্জাবির উপরে সাদা জহর কোটে সেজেছেন অনির্বাণ। একই ভাবে যশকে দেখা গিয়েছে হালকা গোলাপি টি শার্ট, সাদা জিন্সে। অর্থাৎ, কাজে রয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা। পরমব্রত, ঋতব্রত, ঋদ্ধি সেন হয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত— প্রত্যেকে প্রতিবাদে শামিল হলেও তা থেকে দূরে তিনি।
কিন্তু কেন এই ঘটনা নিয়ে এত নীরব কেন অনির্বাণ? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি ফোনে অধরা। তাঁর স্ত্রী মধুরিমা গোস্বামী শুরু থেকে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি তাঁর কাছেই অনির্বাণের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। মধুরিমা বলেন, “আমি আমার লড়াই লড়তে নেমেছি। আমি যাঁদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছি, তাঁদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছি। প্রত্যেকেরই প্রতিবাদের ভিন্ন ভাষা থাকে। আমি রাস্তায় নেমেছি বলে সকলকে রাস্তায় নামতে হবে, এমন নয়।”