রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বক্রিকেটেও এখন পরিচিত রিঙ্কু সিংহ। তাঁর জন্যই আটকে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি ক্রিকেট মাঠের সংস্কারের কাজ। তিনি সে দেশে যত দিন না যাচ্ছেন, তত দিন সম্ভবত হবে না স্টেডিয়ামের একটি বিশেষ অংশের সংস্কার।
২০২৩ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। সেই ম্যাচে ৩৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু। তাঁর মারা একটি ছক্কা উড়ে গিয়েছিল মাঠের বাইরে। বল উড়ে গিয়ে ভেঙে দিয়েছিল স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সের জানলার কাচ। যা এখনও একই ভাবে রেখে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটকর্তারা।
গত অগস্টে ঘূর্ণিঝড়ে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে রিঙ্কুর ছক্কায় ভাঙা জানলার কাচের নতুন করে কোনও ক্ষতি হয়নি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত স্ট্যান্ডের বিভিন্ন অংশ সংস্কারের কাজ হলেও হাত দেওয়া হয়নি সেই জানলায়। রিঙ্কুর সইয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন পোর্ট এলিজাবেথের ক্রিকেটকর্তারা। কেকেআর ব্যাটার আবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন, তখন সেই ভাঙা কাচে তাঁকে দিয়ে সই করানোর ভাবনা রয়েছে। রিঙ্কুর সই করা ভাঙা কাচ সংরক্ষণ করতে চান পোর্ট এলিজাবেথের ক্রিকেটকর্তারা। তার পর হয়তো জানলার কাচ বদল করবেন তাঁরা।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেল স্টেন বলেছেন, ‘‘রিঙ্কুর ওই শটটা অবিশ্বাস্য ছিল। গ্রেম পোলক স্ট্যান্ডের প্রেস বক্সের কাচ ভেঙে ফেলার জন্য আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়েছিল রিঙ্কু।’’ মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্তা বলেছেন, ‘‘ওই জানলার কাচটা বদল করা সহজ নয়। মাটি থেকে অনেকটা উচুঁতে রয়েছে জানলাটা। কাউকে ক্রেনে করে উঠতে হবে ভাঙা কাচটা পাল্টাতে হলে। ব্যাপারটা বেশ খরচসাপেক্ষ। আমরা স্টেডিয়ামের আরও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ করছি। তা ছাড়া ওই কাচটার জন্য কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। খুলে পড়ে যেতে পারে তেমন সম্ভাবনা নেই। তাই এখনই পাল্টানোর কথা ভাবা হচ্ছে না।’’
এর পরেই তিনি ভাঙা কাচ না পাল্টানোর আর এক কারণের কথা বলেছেন। ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘রিঙ্কু আবার যখন এখানে আসবে, তখন হয়তো আমরা ভাঙা কাচটার উপর ওর একটা সই নেব। তাই এখনই ওখানে হাত দিচ্ছি না আমরা। অপেক্ষা করা হবে। তা ছাড়া কাচটা পাল্টাতে হলে বেশ খরচও হবে।’’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে আবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে রিঙ্কুকে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি এখন দেশের অন্যতম সেরা ফিনিশার। উল্লেখ্য, ১৩ কোটি টাকা দিয়ে রিঙ্কুকে ধরে রেখেছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।