অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশক ধরে বলিউডে অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন অক্ষয় কুমার। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তাঁর কিছু ছবি বক্স অফিসে সফল হয়নি। কী ভাবে ব্যর্থতা সামাল দিয়েছেন অক্ষয়? সমালোচনার মুখে নিজেকে স্থির রেখেছেন কী ভাবে?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানান, সমালোচনা শুনলে খারাপ লাগে তাঁরও। তবে খুব দ্রুত সে সব থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা আছে তাঁর। বক্স অফিসের সাফল্য-ব্যর্থতা কতটা স্পর্শ করে তাঁকে? অক্ষয় জানান, দর্শকের প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায় যে, একটা পরিবর্তন প্রয়োজন।
অক্ষয়ের কথায়, “জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি আমি। যখন ভাল সময় চলে, সকলেই বাহবা দেয়। কিন্তু যখন খারাপ সময় আসে, তখন এমন সমালোচনা হয়, যা চিন্তার বাইরে।”
তাঁর দাবি, ‘‘ছবি হিট হলে কার না ভাল লাগে! খারাপ হলে খারাপও লাগে। কিন্তু আমার গর্ব হয় যে, এ সব পুষে রাখি না আমি, খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে পারি এর থেকে। সেটা পারি বলেই সেই প্রথম যে দিন কাজ শুরু করেছিলাম, সেই ইচ্ছেটা নিয়েই কাজ করতে পারি। আমি কাজ করতে ভালবাসি। কাজ থেকে কেউ আমাকে সরিয়ে দিতে পারবে না।”
অভিনেতার মনে হয়, জীবনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই। সৎ ভাবে কঠোর পরিশ্রমের ফল তিনি পান বলেই অভিনেতার বিশ্বাস।
বক্স অফিসের নম্বর তাঁকে প্রভাবিত করে কি? অক্ষয়ের জবাব, “নিশ্চয়ই করে। আমাদের ভাঙাগড়া তো এর উপরেই নির্ভর করে। এটাকেই তো আমরা হিট বা ফ্লপ বলি। আমরা ঠিক পথে চলছি কি না, দর্শকই সেটা বুঝিয়ে দেন। এই সবটাই বক্স অফিসের নম্বরে প্রভাব ফেলে।”
অক্ষয়ের মতে, ছবি সফল হয়নি মানে দর্শক আসেননি। তার মানে দর্শকের সঙ্গে ছবিটার সংযোগ তৈরি হয়নি। এ বার বদলাতে হবে, ইঙ্গিত দেন দর্শক। গোটা ইন্ডাস্ট্রিরই সেই বদলে শামিল হওয়া উচিত, মনে করছেন অক্ষয়।
ছবি হিট হোক বা ফ্লপ, কাজ করেই চলেন অক্ষয়। ১৯৯১ সালে ‘সৌগন্ধ’ ছবিটি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় অক্ষয়ের। পরের বছর ‘খিলাড়ি’ ছবিটির বাণিজ্যিক সাফল্য অক্ষয়কে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করে। তবে সম্প্রতি অক্ষয় অভিনীত সব ছবিই বাণিজ্যিক ভাবে অসফল। তা নিয়ে কোনও দিন হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি অভিনেতাকে।
অক্ষয়কে এর পর দেখা যাবে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান রেসকিউ’- তে। চলতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পাবে টিনু সুরেশ দেশাই পরিচালিত ছবিটি। এ ছাড়াও অক্ষয়কে শীঘ্রই দেখা যাবে ‘ওহ মাই গড ২’-এ। ১১ অগস্ট মুক্তি পাবে সেটি।