(বাঁ দিকে) মনীষা রানি। উরফি জাভেদ (ডান দিকে)। ছবি—সংগৃহীত
‘বিগ বস্ ওটিটি ২’-তে নজরে এখন মনীষা রানি। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মন কেড়েছেন তিনি। পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে তাঁর মৌলিক জীবনবোধ— সবেতেই সাবলীল নিজস্বতা রেখে এগিয়ে চলেছেন বিহারের কন্যা। অনেক সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন তিনি, সে কথা স্বীকার করতেও স্বচ্ছন্দ তিনি। তবে সমসাময়িক মডেল-তারকা উরফি জাভেদের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হতেই রে-রে করে উঠলেন মনীষা।বললেন, “না না, আমি একেবারেই উরফির মতো নই। তিনি যা খুশি পরেন। শুধু তাঁর পোশাকের জন্য চর্চায় থাকেন। আমি কিন্তু পোশাকের চেয়ে বেশি কিছু। মানুষ আমায় বিনোদনজগৎ থেকেই চেনেন।”
মনীষা আরও জানান, ‘বিগ বস্ ওটিটি ২’-এ তাঁর মতো দ্বিতীয় কেউ নেই। সে কারণেই দর্শকরা তাঁকে এত ভালবাসেন, দাবি মনীষার।
সমাজমাধ্যমে ৪৬ লক্ষেরও বেশি অনুরাগী তাঁর। বিহারের এক ছোট গ্রামের বাসিন্দা হয়েও চোখে ছিল আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন সত্যি করার পথে পাড়ি দিয়েছিলেন মনীষা।
শনিবার রাতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রিমিয়ার পর্বের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সলমন খানের ‘বিগ বস্ ওটিটি ২’। এই প্রিমিয়ার পর্বেই দর্শকের নজর কেড়েছেন মনীষা।মূলত কণ্ঠের জন্যই সুখ্যাতি রয়েছে তাঁর। বলিউডের তারকারা তাঁর কণ্ঠের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করে থাকেন।ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মনীষা। কিন্তু বিহারের গ্রামে থেকে তাঁর স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। নাচের জন্যও প্রশিক্ষণ নেন। শেষে কলকাতা হয়ে মুম্বই পাড়ি দেন তিনি। বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয় করতে যান। তবে বাতিল হন। রিয়্যালিটি শো-তেও সে ভাবে সুযোগ পাননি। ইউটিউবেই জনপ্রিয় হয়ে যান। সেখান থেকে রোজগার। বর্তমানে ‘বিগ বস্’-এর মঞ্চেও সকলের নজর কেড়েছেন তিনি।
উরফিও লখনউয়ের ছোট শহর থেকে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন। নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। তবে সেই জনপ্রিয়তা সম্পূর্ণ ভাবেই পোশাক এবং ফ্যাশন-নির্ভর। তাই তাঁর সঙ্গে মনীষা নিজের তুলনা পছন্দ করলেন না।