রবিবার বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ ঐন্দ্রিলার কুঁদঘাটের বাড়িতে পৌঁছল তাঁর মরদেহ। ২৪ বছরের অভিনেত্রীর অকালমৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রীর পরিজনেরা। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ঐন্দ্রিলার চিকিৎসক বাবা উত্তম শর্মা। অভিনেত্রীর বাবা বলেন, ‘‘ভাষা হারিয়েছি, মেয়েটাকে বাড়ি ফেরাতে পারলাম না, আমার জীবনে সব থেকে দুঃখের দিন।’’
মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রীর বাবা। ফাইল-চিত্র।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী-সহ টলিপাড়ার কলাকুশলীরা। পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন ঐন্দ্রিলার অনুরাগীরা। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়। ইতিমধ্যেই নিজেদের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল কালো করে দিয়েছেন একাধিক তারকা। এত কিছুর মধ্যেও বার বার ঘুরে ফিরে আসছে যাঁর নাম, তিনি সব্যসাচী চৌধুরী। সকলেই জানতে চাইছেন, এই মুহূর্তে কী অবস্থায় রয়েছেন ঐন্দ্রিলার কাছের বন্ধু সব্যসাচী? জীবনের কাছের মানুষকে সদ্য হারানোর পর নিজেকে সব জায়গা থেকেই গুটিয়ে নিলেন। ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইলের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। কাছের মানুষ হারিয়ে সব জায়গা থেকে কী ভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখা যায়, তারই প্রচেষ্টা। এই আভাস হয়তো আগে থেকেই পেয়েছিলেন সব্যসাচী। তাই শনিবার রাতেই ঐন্দ্রিলা সংক্রান্ত সব পোস্ট মুছে দেন তিনি।