সব্যসাচী কেমন আছেন জানালেন সৌরভ।
রবিবার বেলা ১২.৫৯ নাগাদ না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। টানা ১৯ দিনের লড়াই শেষ, চিরঘুমে ঐন্দ্রিলা। তবে মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্তে লড়াই করে গিয়েছেন ২৪ বছরের এই মেয়ে। আর সমস্ত লড়াইয়ে পরিবার ছাড়া যে মানুষটি তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন, তিনি হলেন অভিনেত্রীর বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। তবে সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার লড়াইটা দিনে হয়তো গোনা সম্ভব নয়। প্রিয়জনকে হারিয়েছেন সব্যসাচী। সকলের উৎকণ্ঠা, অভিনেতা কেমন আছেন? সেই খোঁজ দিলেন সব্যসাচীর কাছের বন্ধু সৌরভ দাস।
সৌরভের কথায়, ‘‘সব্য ভেঙে পড়েছে। কেমনই বা থাকবে এই পরিস্থিতিতে! ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে। তবে সব্যকে বলেছি, এক ফোঁটা চোখের জল না ফেলতে। আজ ওকে সামলাতে হবে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে। সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবে না। কারণ মিষ্টির কথাতেই ও লিখতে শুরু করে। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল সকলের সঙ্গে। যদি কেউ আশা করেন, ফেসবুকে কোনও পোস্ট দেবে সব্য, তা আর হবে না।’’
সালটা ২০১৭। ঐন্দ্রিলার প্রথম ধারাবাহিক ‘ঝুমুর’-এর সেটেই প্রথম দেখা। তবে সেই দেখাতেই যে তাঁরা পরস্পরকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন, তা নয়। ‘প্রথম দেখায় প্রেম’-এ মোটেও বিশ্বাসী ছিলেন না ঐন্দ্রিলা। তা হলে কী ভাবে শুরু হল রূপকথা? শুটিং থেকে ছুটি পেলেই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে আড্ডা দিতেন ঐন্দ্রিলা। থাকতেন সব্যসাচীও। তার পর ধীরে ধীরে ফোনে কথাবার্তা শুরু। সেখান থেকে এগোয় তাঁদের সম্পর্ক। তার পর ৫ বছর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই। কিন্তু শেষমেশ হাত ছাড়লেন ঐন্দ্রিলা। থেকে গেল তাঁদের রূপকথার আখ্যান।