জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় আদিত্য পাঞ্চোলিকে আদালতে তলব। ফাইল চিত্র।
২০১৩ সালের জুন মাসের ঘটনা। ১০ বছর পরে এখনও সেই মামলা চলছে আদালতে। বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলিকে তলব করল আদালত। বৃহস্পতিবার সেশন কোর্টের হাজিরার নির্দেশ আদিত্য পাঞ্চোলি-সহ পাঁচ জনকে।
২০১৩ সালে জিয়া খানের মৃত্যুর পর আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন জিয়ার মা। ছবি: সংগৃহীত।
‘নিঃশব্দ’ খ্যাত অভিনেত্রী জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলি, অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। আদিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা। সেই মামলাতেই ফের তলব অভিনেতাকে। একই মামলায় আরও চারজনকে তলব করেছে আদালত। তাঁদের মধ্যে একজন মামলার তদন্তকারী আধিকারিক। খবর, জিয়া খানের আত্মহত্যার বিষয়ে তাঁরা কে কী জানেন, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহেই আদালতের এই তলব। শোনা যাচ্ছে, তলবের দিন পাঁচ সাক্ষীর গরহাজিরা নিয়েও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার হাজিরা না দিলে যে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তা জানিয়ে দিয়েছে সেশন কোর্ট।
২০১৩ সালে জুন মাসে মৃত্যু হয় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের। তার আগে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। ২০১২ সাল থেকে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মা রাবিয়া খান জানান, সূরজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন জিয়াকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হত। সূরজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন রাবিয়া খান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ২০১৪ সাল থেকে জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় অভিযুক্ত আদিত্য পাঞ্চোলি। যদিও রাবিয়া খানের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাঞ্চোলি পরিবার। এখনও আদালতে ঝুলে মামলার রায়। পাঞ্চোলি পরিবারের আশা, সত্যের পক্ষেই রায় দেবে মহামান্য আদালত, এবং তাঁরা বেকসুর খালাস পাবেন।