জন্মদিনের উল্লাসে সলমন খান। ছবি: ফেসবুক।
এক দিকে মৃত্যুভয়, অন্য দিকে জীবন উদ্যাপনের হাতছানি। শুক্রবার কোন দিকে ঝুঁকলেন সলমন খান? ছবিশিকারিদের ছড়িয়ে দেওয়া ঝলক বলছে, এ বছর আর হৃদয় নয়, মস্তিষ্ককে প্রাধান্য দিয়েছেন ভাইজান। সেই জোরেই তিনি মৃত্যুভয় এড়িয়েছেন, জন্মদিনের উল্লাসেও মেতেছেন। তাঁর হাসিমুখ দেখতে বড় ঝুঁকি নিয়েছে অম্বানী পরিবার। যে কোনও সময় সলমনের ঘনিষ্ঠদের উপরে হামলা চালাচ্ছে কুখ্যাত লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলবল। সেই ভয় সরিয়ে ২৭ ডিসেম্বর জামনগরে ব্যবসায়ী পরিবারের রিসর্ট উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল খানদানকে। সেখানেই জন্মদিনের জমজমাট উদ্যাপন। যা দেখে বলিউড বলছে, অনন্ত অম্বানীর বিয়েতে গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল ৫৯ বছরের অভিনেতাকে। এই সুযোগে অম্বানীরা বুঝি সেই ঋণ মেটালেন!
ভাইজান জামনগরে আসছেন, খবর ছড়াতেই বিমানবন্দরের সামনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কালো পোশাকে মুড়ে, নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনির মধ্যে থেকেই হাসিমুখে সলমন হাত নাড়েন উপস্থিত সকলের উদ্দেশে। বাইরে তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসছে। জন্মদিনের রাত প্রতি বারের মতোই রঙিন। অম্বানী পরিবারের নিরাপদ ঘেরোটোপে সন্ধ্যা গাঢ় হতেই আকাশে আতসবাজির রোশনাই। রিসর্টের গেটের উপর লেখা ‘শুভ জন্মদিন ভাই’। নেপথ্যে বেজেছে, তাঁর ‘কিক’ ছবির গান ‘জুম্মে কি রাত হ্যায়’।
প্রতি বছর সলমনের জন্মদিনের পার্টি হয় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে, নয় তাঁর বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে হয়। জন্মদিনের আগের রাতেই অনেক সময় অর্পিতার বাড়িতে চলে যান সকলে। এ বছরেও সে সব হয়েছে। তবে সলমনের বাড়িতে। সেখানে টেবিলে রকমারি কেকের সারি। ভাগ্নি আর মামার এক তারিখে জন্মদিন। উদ্যাপনে তাই কঁচিকাচারাও ভিড় জমিয়েছিল। সে সব পর্ব মিটতেই সলমন সপরিবারে উড়ে যান গুজরাতের জামনগরে। একটি বিমানে কেবলই তাঁর পরিবারের সকলে। দুই মা সালমা খান, হেলেন থেকে অর্পিতা-আয়ুশ খানের ছোট্ট ছেলে— সবাই ছিলেন সেখানে।