সলমন খানের জন্মদিনের উল্লাস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জন্মদিনে নাকি ‘ভাইজান’ পার্টি করবেন না! বাইরের কেউ ডাক পাবেন না তাঁর জন্মদিনের আগাম নৈশপার্টিতে! তাঁর জন্মদিনে পার্টি হবে না, এ-ও কি সম্ভব? ৫৯তম জন্মদিনে সলমন খান পার্টি করেছেন ঠিকই তবে উপরিউক্ত শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছে। আঁটসাঁট নিরাপত্তায় বাইরের ‘মাছি’টিও খানদানের অন্দরে গলতে পারেনি। তাতে অবশ্য জমায়েতে ভাটা পড়েনি। লতায়পাতায় খান পরিবারের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব্বাই ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত। এ ছাড়া সলমনের দেহরক্ষীরা তো ছিলেনই।
রাত যত গভীর, মুম্বই ততই লাস্যময়ী, আগাগোড়া। ২৫ ডিসেম্বর বলি তারকারা ঝেঁটিয়ে নৈশপার্টিতে মেতেছিলেন। খান পরিবার সেই দিন থেকেই তৈরি। ২৬ ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটার দিকে এগিয়েছে। গাড়ির ভিড় বেড়েছে আবাসনের সামনে। সলমনের জন্মদিনেই জন্মদিন তাঁর ভাগ্নির। খানদানের অন্দরমহল লোকে লোকারণ্য। টেবিলে রেড ভেলভেট থেকে তিন থাকের রামধনু কেক, চকোলেট কেকের সারি। কালো টি শার্ট, বাদামি জ্যাকেট, জিন্সে সেজে ‘বার্থ ডে বয়’। একের পর এক কেকের বুকে ছুরি বসিয়ে গিয়েছেন তিনি। বাড়িতে কচিকাঁচা থেকে বর্ষীয়ানদের উল্লাসের মোচ্ছব। ভাইরাল ভিডিয়ো বলছে, কেবল যেন হাসি নেই ‘কিসি কি ভাই কিসি কা জান’-এর মুখে। চোখের কোলে ক্লান্তি, হাসিতেও সেই উচ্ছ্বাস কই?
জেঠুকে শুভেচ্ছা জানাতে পার্টিতে হাজির সোহেল খানের একমাত্র ছেলে নির্বাণ খান। এসেছিলেন সস্ত্রীক আয়ুশ খান, নিখিল দ্বিবেদী, গৌরী পণ্ডিত। এ দিকে ‘বিগ বস ১৮’-তেও ‘উইকএন্ড কা ভার’-এ সলমনের জন্মদিন পালনের আয়োজন। প্রথমে ঠিক ছিল, পুরো খানদান হাজির থাকবে সেখানে। পরে নিরাপত্তার খাতিরে সেই উদ্যোগ বাতিল করা হয়।