কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। ফাইল চিত্র।
বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলেই সড়ক উন্নয়নে ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পে ছাড়পত্র দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের ওই পরিকল্পনা তৈরিই রয়েছে। তবে এই আমলে শুরু করতে গেলে ‘রাজনৈতিক সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে’। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যে ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’ এলেই ওই কাজে হাত দেওয়া হবে। পাল্টা যুক্তিতে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ত্রিপুরা বা গুজরাতে ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’ হয়েও ওই রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো বুনিয়াদি বিষয়গুলিতে কেন জাতীয় সূচকেরও নীচে স্থান— সেই জবাব আগে দিক বিজেপি।
আগামী অর্থবর্ষে (২০২১-২২) পশ্চিমবঙ্গে ৬৭৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের ঘোষণা সংসদে দাঁড়িয়ে করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সংসদের বাজেট বক্তৃতায় ওই খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ এক ধাপ এগিয়ে গডকড়ী দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গের সড়ক খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত রয়েছে। সময়ে জমি অধিগ্রহণ করা গেলে এবং পরিবেশ ও বন দফতরের ছাড়পত্র হাতে এলে এত দিনে ওই কাজ শুরু করে দেওয়া যেত।” কী সেই বাধা তা স্পষ্ট না করলেও মূলত রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার বিষয়টির দিকে পরোক্ষে আঙুল তোলেন গডকড়ী। যে ধরনের অসহযোগিতার অভিযোগ প্রায়ই করে আসছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
তাই থমকে থাকা প্রকল্পের রূপায়ণে কেন্দ্র ও রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের তত্ত্বে হাওয়া দিয়ে গডকড়ী বলেন, “দু’জায়গায় একই দলের সরকার হলে আমরা পশ্চিমবঙ্গের চেহারা বদলে দেব।’’ নাগপুরের এই বিজেপি নেতার দাবি, বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা দেশে যে উন্নয়ন যজ্ঞ চালাচ্ছে, বাংলার মানুষ তাতে শামিল হতে চান। গডকড়ীর জবাবে তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, “বেকারত্ব, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার মতো বিষয়গুলিতে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি শাসিত গুজরাত, ত্রিপুরা কিংবা মধ্যপ্রদেশ। আগে নিজেদের শাসনে থাকা রাজ্যগুলিতে মনোযোগ দিক বিজেপি। তার পরে পশ্চিমবঙ্গের কথা ভাবুক।”