মদন মিত্র। ফাইল চিত্র।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছিলেন মদন মিত্র। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্থানান্তরিত করা হল বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তাঁর কোভিড হয়েছে। তাঁর বুকের সিটি স্ক্যানে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে বলে এসএসকেওএম সূত্রে জানা গিয়েছে।
বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন বিভাগে ভর্তি করা হয়। তাঁর বুকের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের ধারণা, করোনা হয়েছে মদনের। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কম। এমন অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম থেকে স্থানান্তরিত করা হয়।
পঞ্চম দফায় ভোট ছিল কামারহাটিতে। ভোট প্রক্রিয়া ঘুরে দেখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মদনকে রথতলায় দলীয় কার্যালয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন দিতে হয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি শরীর ভাল যাচ্ছিল না মদনের। তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর বেশিরভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন অন্তরালেই। মদনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীর সঙ্গী ছিলেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। বুধবার সকালে গোপালের করোনা ধরা পড়ে। ঘটনাচক্রে ওই সময় থেকেই স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে মদনেরও।
বুধবার রাজ্য এবং দেশের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ধরা পড়েছে বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শিলাদিত্য হালদারের। তার কিছু ক্ষণ পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা দলের সাংসদ অধীর চৌধুরীও টুইট করে তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান। করোনা হয়েছে কংগ্রেস নেতা শশী তারুরেরও। করোনার কবলে পড়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়ালও।