রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অতিমারির দ্বিতীয় পর্বে নজিরবিহীন করোনা সংক্রমণ রাজ্যে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এ বার একলাফে ১১ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। কলকাতায় নতুন আক্রান্ত আড়াই হাজারের বেশি। দু’হাজারের বেশি সংক্রমিত উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল ২১ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হারও। বুধবার রাজ্যে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৬০-এর দোরগোড়ায়। চুম্বকে, রাজ্যের করোনার ছবিটা আশঙ্কাজনক বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮১৯ জন। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮৪। এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত ২ হাজার ৫৬৮ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায় ২ হাজার ১৪৯। এ ছাড়া পাঁচশোর বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬৪৬), হাওড়া (৬২৬), বীরভূম (৫৮০), পশ্চিম বর্ধমান (৫৫৬) এবং হুগলি (৫২৩)-তে। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে সংক্রমণের চিত্রটা এমন— দার্জিলিং (২৩২), জলপাইগুড়ি (১২১), উত্তর দিনাজপুর (১৮১), মালদহ (৪৫৪), মুর্শিদাবাদ (৪৬২), নদিয়া (৩৮০), পুরুলিয়া (২৯৪) এবং পূর্ব বর্ধমান (২৯৬)।
সংক্রমণের পাশাপাশি লাফিয়ে বেড়েছে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যাটাও। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছিল ৪৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে ১৩ জন উত্তর ২৪ পরগনায় এবং ১৩ জন কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১০ হাজার ৭১০ জন।
একনজরে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫০ হাজার ১৪টি কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ হাজার ৭৮৪ জনের। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বুধবার সংক্রমণের হার পৌঁছেছে ২১.৫৬ শতাংশে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ৯৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪১৩ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৪ লক্ষ ১১ হাজার ১৫৬ জনকে।