বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে জয়ের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ করলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অভিযোগ, তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের বলি হয়েছেন দলের বহু কর্মী। বিভিন্ন জেলায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় কার্যালয়। এর প্রতিবাদে ৫ মে, বুধবার দেশ জুড়ে ধর্নায় বসবে বিজেপি। সেই সঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ৪ তারিখ থেকে ২ দিনের রাজ্য সফর করবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সোমবার বিজেপি-র টুইটার হ্যান্ডলে এ খবর জানানো হয়েছে।
নীলবাড়ি দখলের লড়াইতে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের বহু যোজন পিছনে ফেলে বিপুল সংখ্যক আসন দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ২৯৪টির মধ্যে ২১৩টি আসনে জয়ের পর বুধবার, ৫ মে সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ রাজভবনে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, ৫ মে-ই দেশ জুড়ে ধর্না কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে নড্ডার দল।
সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজেপি-র অভিযোগ, ভোটের ফলাফল বার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে তাণ্ডব চালানো শুরু করেছে তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলের বহু কর্মীকে খুন করছে তারা। সেই সঙ্গে হিংসায় আহত হয়েছেন বহু কর্মী। তাঁদের দোকান, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে জেলা কার্যালয়েও। গোটা পরিস্থিতিতে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, এ নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও বিবৃতি দিয়েছেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজেপি। এর নিন্দায় প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে তারা। ২ দিনের রাজ্য সফরে এসে দলের ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন নড্ডা। পাশাপাশি, দেশ জুড়েই এর প্রতিবাদে চলবে ধর্না।
ভোট পরবর্তী হিংসা এবং তাণ্ডবের অভিযোগে সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাতে একটি টুইটে এ কথা জানান রাজ্যপাল। রাতেই আরও একটি টুইটে ধনখড় জানিয়েছেন যে রাজ্যে ডিজিপি টি নীরজনয়ন এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরে তাঁদের রিপোর্ট জমা করেছেন। যদিও কেন সরাসরি সেই রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হল না, তা নিয়েও নিজের টুইটে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ধনখড়।