নিজস্ব চিত্র
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগেই মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নামে চলল দেওয়াল লিখন। তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকার দেওয়ালে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নাম লিখতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশকে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। তবে এলাকার দেওয়াল লিখনের ব্যাপারে কোন খবর পাননি বলে দাবি করেছেন গিয়াস।
তাঁর কথায়, ‘‘দল যাকে প্রার্থী করবে, তাঁকেই জেতানোর দায়িত্ব নেব আমরা। দলের তরফে প্রার্থীই ঘোষণা করা হল না, আর দেওয়াল কী ভাবে লিখব? আমরা কাছে এই ধরনের কোন খবর নেই৷ তবে তৃণমূলের তরফে দেওয়াল লেখা চলছিল। দু এক জায়গায় আমাকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁরাই আবেগের বশে আমার নাম দেওয়ালে লিখতে পারেন। তবে চোখে পড়লে নিশ্চয়ই নিষেধ করব।’’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার বিজেপি-র সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘তৃণমূলে কোন শৃঙ্খলা নেই বলেই যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে। আদি ও নব্যের সংঘাত চলছে অহরহ। কার বেশি জনপ্রিয়তা, তা জানান দিতেই তৃণমূলের নেতারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। যেমন দল তেমনই তাদের নেতা।’’
মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের সিংহভাগ ভোটারই সংখ্যালঘু এবং তফশিলি জাতিভুক্ত। গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটারদের সিংহভাগ ভোট ছিল তৃণমূলের দখলে। কিন্তু আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা জুড়ে। যদি আব্বাস বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে এই বিধানসভায় প্রার্থী দেয় তা হলে সংখ্যালঘু এবং তফশিলি ভোট ভাগ হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।