গলসিতে উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র
ভোটের মুখে ফের বোমা উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। বুধবার গলসি ২ নম্বর ব্লকের মসজিদপুর এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতর। এর আগেও গলসির একাধিক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটেছে বিস্ফোরণের ঘটনাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মসজিদপুর গ্রামের কাছে জমিতে বস্তার মধ্যে রাখা ছিল ওই বোমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গলসি থানার পুলিশ। ঘিরে ফেলা হয় জায়গাটা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াডও। কারা ওই বোমা মজুত করে রেখেছিল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই গলসিতে ধারাবাহিক ভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে গলসিরই রাইপুর এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে। পুলিশের ধারণা, শেখ রফিকুল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার নির্মীয়মাণ বাড়িতেই ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল। গত রবিবার রাতে রাইপুরের পার্শ্ববর্তী আটপাড়া গ্রামে মজুত করা বোমা ফেটে যায়। তার জেরে এলাকা জুড়ে ছড়ায় আতঙ্ক। সেই সব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা উদ্ধার হল সেই গলসিতেই।
ওই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। বিজেপি-র পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায়ের অভিযোগ, ‘‘প্রতি দিনই এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বোমা মজুত করা হচ্ছে, এটা জলের মতো স্পষ্ট।’’ বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা গুল মহম্মদ মোল্লার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমাদের প্রতি মানুষের আবেগ এবং উচ্ছ্বাস বাঁধভাঙা। আমাদের প্রার্থী নবীনচন্দ্র বাগকে নিয়ে প্রচার চলছে। এ বার উনি বিপুল ভোটে জিতবেন। তাই বিজেপি এমন চক্রান্ত করেছে।’’ বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ায় উদ্ধার হওয়া ৩টি সকেট বোমা নিষ্ক্রিয় করে বম্ব স্কোয়াড, জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার একটি মাঠে ওই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি প্রতীক্ষালয়ের পাশেই মেলে ওই সকেট বোমাগুলি। সেগুলি আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক এবং দমকলের উপস্থিতিতে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।