Dhupguri

WB Election: ধূপগুড়িতে ২ পঞ্চায়েত সদস্যের পদ খারিজের আবেদন, প্রকাশ্যে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল

বুধবার ধূপগুড়ির শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা দলের পঞ্চায়েত সদস্য বরুণচন্দ্র সরকার এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাণী সরকারের বিরুদ্ধে এই আবেদন করেছেন অতুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গয়েরকাটা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২১ ০৪:২৫
Share:

আবেদনপত্র হাতে অতুল মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল-সহ নিজের দলের পঞ্চায়েত সদস্যের সদস্যপদ খারিজের আবেদন করলেন ধূপগুড়ির এক বিজেপি নেতা। অভিযোগ, পঞ্চায়েত আইন অমান্য করেছেন তাঁরা। বুধবার এই মর্মে মহকুমা শাসকের অফিসে আবেদন জমা করেছেন জেলা বিজেপি-র উত্তর-পশ্চিম মণ্ডলের কিসান মোর্চার মণ্ডল সভাপতি অতুল মণ্ডল। এর জেরে বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও ২ সদস্যই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

বুধবার ধূপগুড়ির শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য বরুণচন্দ্র সরকার এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাণী সরকারের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন অতুল। তাঁর অভিযোগ, দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত। তিনি বলেন, “১৯৭৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের ৮ (সি) এবং পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত ম্যানুয়ালের ৭ ধারা অনুয়ায়ী কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের নিকটাত্মীয় সেই পঞ্চায়েতে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতে পারেন না। কিন্তু শালবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের ১৫/৩৭ অংশের পঞ্চায়েত সদস্য বরুণের স্ত্রী রেখা মণ্ডল ও ১৫/৩৪ অংশের পঞ্চায়েত সদস্য বাণীর স্বামী নগেনচন্দ্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে আধিকারিকদের সাহায্যে বেআইনি ভাবে ঠিকাদারি করছেন। তাই তাঁদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছি। এর সুরাহা না হলে হাইকোর্টে যাব।”

যদিও বাণীর দাবি, “পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ার আগে থেকেই ঠিকাদারি করছেন আমার স্বামী। পঞ্চায়েতে আসার পর থেকে কোনও সরকারি ট্রেনিংয়ে বা আধিকারিক স্তরে কখনই বলা হয়নি যে আমি সদস্য হওয়ায় আমার স্বামী ঠিকাদারির কাজ করতে পারবেন না।”

Advertisement

একই দাবি বরুণের। তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনও ট্রেনিংয়ে এ কথা জানানো হয়নি। এ রকম কোনও নিয়ম আছে বলেও আমার জানা নেই।” যদিও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জলপাইগুড়ির মহকুমা প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement