আরামবাগে অশান্তি। —নিজস্ব ছবি।
ভোটের আগেই অশান্তি ছড়াল হুগলির আরামবাগে। তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় বিজেপি। অভিযোগ, শ্যামল রায় নামে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাতও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, খানাকুলে বিজেপির উপপ্রধানের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মলয়পুর এক নম্বর অঞ্চলের বালিয়া গ্রামের তৃণমূল নেতা শ্যামল রায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। তার পর তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। শ্যামলকে বাঁচাতে ছুটে আসেন কালীপদ বাগ এবং শ্যামল মালিক নামে দু’জন স্থানীয়। তাঁদেরকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। একই সঙ্গে আহত আরও দু’জনকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আক্রান্ত শ্যামল বলেন, ‘‘কাজ সেরে রাতে ফিরছিলাম। তখন রাস্তার মাঝে ১৫-১৬ জন বিজেপির ছেলে আমাকে ঘিরে ধরে। তার পর আমাকে ধরে মারধর করে। মাথায় আঘাত করে। কেন আমার উপর হামলা করা হল, তা জানি না।’’
অপর দিকে, খানাকুলের রাজহাটী ১ পঞ্চায়েতের বিজেপি উপপ্রধান তপন বাগের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। তপন বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আমার উপর চড়াও হয়। তার পর আমাকে মারধর করে। ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মাথায় আটখানা সেলাই পড়েছে।’’ শুধু তাঁকে নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা আরও কয়েক জনকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তপন।
আরামবাগের বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘খানাকুলে আমাদের উপপ্রধানকে মেরেছে তৃণমূল।’’ তবে মলয়পুরের ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘মলয়পুরে আমাদের দলের তিন-চার জন গতকাল রাতে মারধর করা হয়। তাঁরা এখনও হাসপাতালে ভর্তি।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোমবার সকালে খানাকুলে কয়েক জন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেছে বিজেপি।