—নিজস্ব চিত্র ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩ শতাংশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বনগাঁয় ৭৫.৭৩ শতাংশ, ব্যারাকপুরে ৬৮.৮৪ শতাংশ, হাওড়ায় ৬৮.৮৪ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ৭৪.৫০ শতাংশ, শ্রীরামপুরে ৭১.১৮ শতাংশ, হুগলিতে ৭৪.১৭ শতাংশ এবং আরামবাগে ৭৬.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটদানের নিরিখে এগিয়ে রইল আরামবাগই।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৯১৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে সব থেকে বেশি অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। অভিযোগের সংখ্যা ২৪৫টি। তৃণমূল অভিযোগ করেছে ৭৪টি। বিজেপির তরফে ১৪২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। মাত্র দু’টি অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
পঞ্চম দফায় দুপুর ৩টের মধ্যে বাংলার ভোটদানের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬২.৭২ শতাংশ। বাংলায় ভোটের হারে এগিয়ে আরামবাগ। দুপুর ৩টে পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে ৬৭.১২ শতাংশ। দুপুর ৩টে পর্যন্ত বনগাঁয় ৬১.৮৩ শতাংশ, হুগলিতে ৬৫.০১ শতাংশ, ব্যারাকপুরে ৫৫.৩৪ শতাংশ, হাওড়ায় ৫৮.৮১ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ৬৬.৪৫ শতাংশ এবং শ্রীরামপুরে ৬৩.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ বার নদিয়ার কল্যাণীতেও অভিযুক্ত বাহিনী। শাসকদলের অভিযোগ, কল্যাণীর তৃণমূল কাউন্সিলর নিবেদিতা বসুকে হেনস্থা করেছে সিআরপিএফ।
হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকরা হাই ইসলামিয়া হাই স্কুলের বুথের সামনে জমায়েত। ভিড় সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে ওই স্কুলে পৌঁছন। তাঁর অভিযোগ, যেখানে সংখ্যালঘু ভোট বেশি, সেখানে ইচ্ছা করে বাহিনী এ সব করছে। এই নিয়ে বিজেপি-সিপিএমকেও দোষ দেন তৃণমূল প্রার্থী ।
হাওড়ার ষষ্ঠীতলা এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ধুন্ধুমার। ছড়াল উত্তেজনা। এক বিজেপি কর্মী-সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহতও হয়েছেন। ঘটনার বেশ কিছু ক্ষণ পর পুলিশ এবং র্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বালির শান্তিরাম স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শাসকদলের কর্মী এবং এজেন্টদের। তৃণমূলের অভিযোগ, মহিলা ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছে বাহিনী। এক এজেন্ট প্রতিবাদ করলে তাঁকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এই নিয়েই প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তৃণমূল কর্মীদের। ঘটনাস্থলে আসেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হবে বলে জানান বিধায়ক।
জগৎনগর বোর্ড জুনিয়র বিদ্যালয় ১২৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ বিজেপির। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
গোঘাটের সাতবেড়িয়ায় উত্তেজনা! বেলা দেড়টা নাগাদ আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ সাতবেড়িয়া হাই স্কুলে এলে তাঁকে দেখে বিজেপির কর্মীরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার করেন। এর পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় তৃণমূল। এর পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সামনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ছিলেন। উত্তেজিত জনতাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় বাহিনী। স্থানীয় একটি দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ১টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সাত আসনের ভোটদানের হার ৪৮.৪১ শতাংশ। সাত আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আরামবাগে (৫৫.৩৭ শতাংশ)। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত বনগাঁয় ৪৪.১৫ শতাংশ, ব্যারাকপুরে ৪২.৪৭ শতাংশ, হাওড়ায় ৪৪.৭১ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ৫২.৭৯ শতাংশ, শ্রীরামপুরে ৪৭.৭৫ শতাংশ এবং হুগলিতে ৫০.৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১৩৯৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগত ভাবে সব থেকে বেশি অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। অভিযোগের সংখ্যা ১৪৮টি। তৃণমূল অভিযোগ করেছে ৬৩টি। বিজেপির তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে ৭৬টি। মাত্র একটি অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
হাওড়ার আবাসনে বোমাবাজি! ভোটারদের আটকাতে তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই আবাসনের মূল গেট বন্ধ করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গেট খুললে নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা গেট বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে গেট খুলে দেয়।
প্রিসাইডিং অফিসার অসুস্থ হওয়ার কারণে বন্ধ ভোটগ্রহণ। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর ১০৭ নম্বর বুথের ঘটনা। স্থানীয়েরা ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। এখন তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। আধ ঘণ্টা পরে আবার ওই বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
হুগলির ধনিয়াখালিতে উত্তেজনা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে। ৫ বছর আগে এই বুথেই লকেটের বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার তিনি ওই বুথে পৌঁছলে ফের গন্ডগোল শুরু হয়। ওই বুথের সামনেই বাড়ি তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের। তিনিও সেখানে পৌঁছন। এর পরেই তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়। লকেটকে ‘ডাকাত’ বলে হাঁক দেন অসীমা। পাল্টা ‘চোর’ বলে অসীমাকে আক্রমণ করেন লকেট।
শ্রীরামপুর লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। দু’দলেরই বেশ কয়েক জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
ব্যারাকপুরে ভোটারদের গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
হুগলির সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে কটাক্ষ তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কল্যাণ বলেন, ‘‘দীপ্সিতার অত বড় মন আছে নাকি যে, আমাকে ভোট দেবে। নিজেকেই ভোট দেবে।’’ দীপ্সিতা হেরে গেলে পাকাপাকি ভাবে কেরালায় চলে যাবেন বলেও কটাক্ষ তৃণমূল প্রার্থীর।
ভোট প্রক্রিয়ায় নজর রাখার ফাঁকে জাঙ্গিপাড়ার রাজবল্লভী মন্দিরে যান কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘মা খুব জাগ্রত। তাই এখানে আসি।’’
জাঙ্গিপাড়ার যে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও যান কল্যাণ। সেই গ্রামে মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। কী ঘটেছিল তা শোনেন। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কটাক্ষও করেন তিনি।
সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজ্যের সাত লোকসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ১০৩৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। দলগত ভাবে সব থেকে বেশি অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম, ৭৯টি। তৃণমূল অভিযোগ করেছে ৫০টি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলায় ৩২.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা দেশের মধ্যে এখনও সর্বোচ্চ। প্রথম দু’ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল উলুবেড়িয়ায়। সকাল ১১টায় কমিশনের হিসাব বলছে, এগিয়ে গিয়েছে আরামবাগ। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৬.২১ শতাংশ, যা বাংলায় সর্বোচ্চ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা পর্যন্ত বনগাঁয় ৩১.৮১ শতাংশ, ব্যারাকপুরে ২৯.৯৯ শতাংশ, হাওড়ায় ৩০.৮৯ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ৩৩.৯৮ শতাংশ, শ্রীরামপুরে ৩১.৭৪ শতাংশ এবং হুগলিতে ৩৩.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোটের সকাল থেকেই অশান্ত বনগাঁ লোকসভার একাধিক জায়গা। গয়েশপুরের বেদীভবনের কাছে রাস্তার উপর বিজেপির শহর মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে, আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত জয়ধরও। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আহত কর্মীদের দেখতে কল্যাণী এমসে যান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সুবীরের অভিযোগ, ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তখনই তাঁদের রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি-রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।